মনির হোসেন :
গতকাল ১৮ অক্টোবর ২০২১ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল -এর ৫৭তম জন্মদিন। সারাদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিশেষতঃ শিশু সংগঠনসমূহ শিশু রাসেলের জন্মদিন পালন করছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রায় সকল সদস্য সহ শিশু রাসেলও নিহত হন। তখন শেখ রাসেলের বয়স হয়েছিল মাত্র ১১ বছর ২ মাস। ঐদিন তার হত্যাকাণ্ড বিশ্বমানবতার ইতিহাসে চরম পৈশাচিকতা ও নির্মমতার জন্ম দেয়।
১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমণ্ডিস্থ ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ -এ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসার কোল আলো করে শিশু রাসেলের জন্ম হয়। তিনি ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ সন্তান।
এজন্য তিনি ছিলেন পরিবারে সবার খুব আদরের। যখন তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তখন তিনি ‘ঢাকা ল্যাবরেটরি’ স্কুলে পড়াশুনা করছিলেন। আমরা শেখ রাসেলের জন্মদিনে বিশেষ শুভেচ্ছা সহভাগিতা সহ তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা শেখ বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসার জেষ্ঠ্য সন্তান। তিনি সহ তার ছোট বোন শেখ রেহানা সৃষ্টিকর্তার অপার করুণা এবং এ দেশের মানুষের ভালোবাসায় এখনো সুস্থ্য শরীরে বেঁচে আছেন।
সোমবার (১৮ইঅক্টোবর) সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানার স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিস্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিনে সাবেক সাভার উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের একমাত্র সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান শেখ মনি যুব সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খসরু মোহাম্মদ আমিরের সভাপতিত্বে শেখ
মনি যুব সংসদের আশুলিয়া থানা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় অনুস্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য হাজী আব্দুর রাজ্জাক।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক ঢাকা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মোঃ সানাউল্লাহ মিয়া, ঢাকা জেলা উত্তর কৃষক লীগের আহ্বায়ক মোঃ মহসিন করিম।
খসরু মোহাম্মদ আমীর বলেন, রাজনৈতিক অনেক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ফ্যামিলির উপর যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। ঘাতকরা শিশু রাসেল কে হত্যা করার আগেই একাধিকবার হত্যা করেছে।
শিশু রাসেল বলেছিল আমি আমার মায়ের কাছে যাবো। তখন তারা বলেছে আয় তোকে তোর মায়ের কাছে নিয়ে যাই। তখন বেঈমানের দল শেখ রাসেলকে সকলের লাশের পাশে হাটিয়ে হাটিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে নিঃস্ব ভাবে বুলেটের আঘাতে রাসেল কে হত্যা করেছিল। হাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার যখন শেখ রাসেলের কথা মনে পড়ে তখন আমি আমার মনের ভিতরে একটা চাপা ব্যথা অনুভব করি।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাবিবুর রহমান হবি (সাবেক মেম্বার) ও স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ধামসোনা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি বর্তমান মুক্তি যোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগের সাবেক ধামসোনা ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রেম লাল, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ দেওয়ান আবুল কাশেম (সাবেক মেম্বার), ধামসোনা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেনসহ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।