বিশেষ প্রতিনিধি :
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইনের নির্দেশনায় ও বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের প্রচেষ্টায় বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোমবার(৬ ডিসেম্বর) অস্ত্রপচার অপারেশন থিয়েটারের কাযক্রম চালু করেন বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ কামরুল হাসান।
সোমবার এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন এর মধ্য দিয়ে উদ্বোধন অপারেশন থিয়েটার(ওটি)-এর কার্যক্রম শুরু হলো।
১৯৬৮ সালে ১০ শয্যার একটি স্থাপনা নিয়ে যাত্রা শুরু করে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কালক্রমে তা ১০ শয্যা থেকে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উন্নিত হয় এবং বর্তমানে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ চলছে।অনেক পুরাতন একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলেও জনবল সংকট ও যন্ত্রপাতির অভাবে দীর্ঘদিনেও অপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভব হয়নি। কিছুদিন পূর্বে সরকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওটি চালুর জন্য জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেসথেসিয়া)পদে ৪০৬ জন এনেসথেটিস্টকে পদায়ন করেন।বরুড়া উপজেলার ৪ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার কেন্দ্র বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারিভাবে এখন যেকোনো অপারেশন করানো হবে।
এই বিষয়ে বরুড়া উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ কামরুল হাসান বলেন, আমি গত ৬ অক্টোবর বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা পদে যোগদানের পরই কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন স্যারের নির্দেশে ওটি চালু করার উদ্যোগ নেই। ওটি চালুর পিছনের নেপথ্য কারিগর জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. মাহবুব ইবনে মোমেন খান(জনি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেসথেসিয়া) ডা. জুলকার নাঈন, ডা. শহীদুল ইসলাম ফরহাদ, ওটি ইনচার্জ এসএসএন হেনাসহ আমার সকল মেডিকেল অফিসার ও অন্যান্য স্টাফ যাদের সহযোগিতা ছাড়া ওটি চালু করা সম্ভব হতো না তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এখন থেকে বরুড়া উপজেলর সকল মানুষ যেকোনো অপারেশন বেসরকারি হসপিটালে না গিয়ে সরকারি হসপিটালে সরকারিভাবে করতে বিনীত অনুরোধ রইল।