আন্দোলনের প্রশ্নে গণঅধিকার পরিষদ এর ১০ নীতি

রাজনীতি

বিশেষ প্রতিবেদক :
দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণ ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে অন্যান্য দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রকামী দলসমূহের সাথে গণঅধিকার পরিষদ যে ১০ টি বিষয়ে একত্রে বা যুগপৎভাবে কাজ করতে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করে:

১/ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনে গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দল,সংগঠন ও জনগণকে সাথে নিয়ে যুগপৎ বা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন-সংগ্রাম।

২/অবাধ ,সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ,ইভিএম বাতিল করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ভোটগ্রহণ।

৩/ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনায়নসহ সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার।

৪/বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পুর্ণরূপে আলাদা করে প্রধান বিচারপতিসহ বিচারক নিয়োগে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন।

৫/বাক,ব্যক্তি ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশ করার অধিকারসহ নাগরিকদের সংবিধান স্বীকৃত সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা।

৬/ খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দী ও ধর্মীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।ভিন্নমতের উপর রাষ্ট্রীয় দমন, পীড়ন, গুম, খুন, নির্যাতন-নিপীড়ন, হামলা ও মামলা বন্ধ।

৭/ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ সকল গণবিরোধী ও নিপীড়নমূলক আইন বাতিল করা।

৮/ বর্তমান সরকারের গত ১৩ বছরের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দুর্নীতি ও অর্থপাচার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ।

৯/মেগা প্রকল্প ও কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাতের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইন করে বাপেক্সেকে শক্তিশালী স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা।

১০/রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন,বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি,প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেশ,দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বসহ জাতীয় স্বার্থে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.