আনোয়ার হোসেন,রংপুর থেকে :
আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় থমকে রসিকের জনবল কাঠামো।এখনো অনুমোদন পায়নি রংপুর সিটিকর্পোরেশনের জনবল কাঠামো। দেশের আয়তনের দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম নগরী রংপুর সিটি কর্পোরেশন আর প্রতিষ্ঠারও পেড়িয়ে গেছে প্রায় নয় বছর কিন্তু কাটেনি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। যার ফলে দিন হাজিরা কর্মচারী দিয়েই সাধ্যের বাহিরে সামাল নিয়েই চলছে সম্পূর্ণ মহানগরীর নাগরিক সেবাসহ সরকারের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
সমাজবিশেষজ্ঞদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনী কল্যান সোসাইটির কেন্দ্রীয় অর্থ উপদেষ্টা সাবেক সেনাকর্মকর্তা ও কন্ফিডেন্স সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন,আধুনিক নগরায়ন গড়ে তোলার প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এখনও পিছিয়ে রয়েছে সম্ভাবনাময় রসিক নগরী।
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে জাতীয় পার্টি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক – এস এম ইয়াসির বলেন, ২০১২সালের ৩০ জুন ৫৫ বর্গ কিলেমিটারের পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করে সরকার।বর্তমানে ৩৩ ওয়ার্ডের এই নগরীর আয়তন ২০৫ দশমিক ৭ বর্গ কিলেমিটার কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পৌরসভার জনবল দিয়ে নাগরিক সেবাসহ সরকারের উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ড চলছে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে অথচ ডিজিটাল নগরায়ন গড়ে তোলার প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় থমকে আছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বিভাগীয় মহাসচিব সাংবাদিক আজিজ চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব রংপুর জেলা শাখার সভাপতি সালবাদিক এনামুল হক স্বাধীনসহ রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মোজাফফর বলেন, বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের রংপুর মহানগরীর গুটিকয়েক নেতাকর্মী সিটি কর্পোরেশন মেয়রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা অনেক অভিযোগ শোনা যাচ্ছে কিন্তু অভিযোগের বিপরীতে বাস্তবতা ভিন্ন চিএ। দৃশ্যমান কোন কিছু আমাদের চোখে পরেনি।এমন রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।তা না হলে বাধাগ্রস্ত হবে নগরীর চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সঙ্গে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তো দীর্ঘদিন থেকে ফলে দিন হাজিরা দিয়ে এই কোনরকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে নাগরিক সেবার মান।
সিটি কর্পোরেশনে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে সরেজমিনে কথা বলে জানা যায়, প্রাক্তন পৌরসভার ২৬৫ জন স্থায়ী কর্মচারী নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হলেও মৃত্যু ও অবসরজনিত কারণে বর্তমানে ১৭টি শাখায় স্থায়ী কর্মচারী রয়েছে ২১৪ জন। মাস্টারোল কর্মচারী ৯৩ জন, আর দিন হাজিরার কর্মচারীর আছে ৩০২ জন।
তবে, রসিকের নাগরিক সেবার মানোন্নয়নসহ জবাবদিহিমূলক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করতে দ্রুত জনবল কাঠামোর অনুমোদনের কথা জানান, রসিক মেয়র জনাব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা আর আধুনিক দৃষ্টিনন্দন পরিচ্ছন্ন নগরী বাস্তবায়নের জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতাটি সরকারের কাছে দ্রুত সমাধান চেয়ে জনবল কাঠামোটি অনুমোদনের দাবি জানান রংপুরবাসি।