আশুলিয়ার কাঠগড়া কুণ্ডলবাগে পরকীয়া প্রেমে মগ্ন হয়ে গৃহবধূ উদাও

অপরাধ

মানসুরা আক্তার কাকলী
আশুলিয়া থানার কাঠগড়া কুন্ডল বাগ এতিমখানা সংলগ্ন মরহুম ফারুক আহমেদের ছোট কন্যা সিনথিয়া খাতুন একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম খান এর ছোট ছেলে মোঃ তুহিন এর সাথে পরকীয়া প্রেমে মত্ত হয়ে অজানার পথে পাড়ি জমিয়েছেন গৃহবধূ সিনথিয়া পারভীন।

গণমাধ্যমকর্মীদের তদন্ত পর্যবেক্ষণে জানা যায় 2 বছর পূর্বে মোসাম্মৎ সিনথিয়া খাতুন কে তারই খালাতো ভাইয়ের সাথে মুসলিম শরিয়া মোতাবেক দুই পরিবার সম্মতি গ্রহণ করিয়া বিবাহ দেওয়া হয়।

বিয়ের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন কথা নিয়ে তুহিনও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইয়ারপুর ইউনিয়ন এর ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আফজাল হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন 2 বছর পূর্বে মেয়ের পক্ষরা মা খালাদের ভিতর দুই পরিবারের সম্মতিতে সিনথিয়া খাতুনের বিবাহ দিয়ে দেন।তবে আইনানুগ কন্যার বয়স সীমা না হওয়ায় বিবাহ রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয় নাই।

তুহিন খানের সাথে 7 থেকে 8 মাস পূর্বে একবার উদাহর ঘটনা শোনা যায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন। এটা নতুন কোন ঘটনা নয় একই ঘটনা বহুবার শোনা গেছে।

কুণ্ডল বাগের শিশু থেকে বৃদ্ধ বলছেন কন্যার মাতা মৃত ফারুক হোসেনের স্ত্রী নিজের দোষ ধামাচাপা দিতে জাহাঙ্গীর খানের পরিবারের উপরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য মৃত ফারুক হোসেনের স্ত্রীর নিকট একাধিকবার টেলিফোনে যোগাযোগ করার পরেও টেলিফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা ফারুক হোসেনের স্ত্রীর নিকট সরোজমিনে সাক্ষাৎ করতে চাইলে বাসায় নাই বলিয়া বাড়ির গেট বন্ধ করে দেয়া হয়।

সাংবাদিকদের কোনো তথ্য তিনি দেন নাই।উক্ত সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য। সাংবাদিকদের টেলিফোনে বিভিন্ন ব্যক্তি দ্বারা ম্যানেজ করার চেষ্টা চালিয়ে যান মেয়ে পক্ষরা। সংবাদ না প্রকাশ করায় সুবিধা কি জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীরা।

আশুলিয়া থানার এস আই ওহিদ বলেন ভিকটিমকে খুঁজে বার করা বড়ই প্রয়োজন বর্তমান দেশের অবস্থা ভালো নয় করোনার থাবায় দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে উধাও হয়ে যাওয়াটা বিপদজনক।

উক্ত ব্যাপারে তুহিন খান এর মাতা জাহাঙ্গীর খানের স্ত্রীর নিকট জানতে চাইলে,কান্নায় কাতর হয়ে ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন আমার ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছেনা উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমিও আমরা কিছুই জানিনা।এলাকাবাসী বলেন জাহাঙ্গীর খান ও তার স্ত্রী ও পরিবার সম্পূর্ণ নির্দোষ।তাদেরকে বৃথা চাপাচাপ দেওয়াটা বড়ই দুঃখজনক।
সংবাদ প্রকাশ করা পর্যন্ত উধাও হয়ে যাওয়া ছেলে এবং মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.