আশুলিয়ার পবনারটেকে বাচ্চু বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী,থানায় অভিযোগ

অপরাধ

মনির হোসেন :
সাভারের আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই নারী সহ চারজনকে বেধরক পিটিয়ে মারাত্বক জখম করেছে বাচ্ছু বাহিনী। আহত শিল্পী আক্তার ও তার ভাই জাহাঙ্গীর পৃথকভাবে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও অদৃশ্য কারনে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছেননা বলে অভিযোগ উঠেছে। জানাযায় বাচ্চু বাহিনীর প্রধান বাচ্চু স্থানীয় এক নেতার ছত্রছায়ায় থেকে অত্র এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘটিত করে আসছেন । তাদের এমন কর্মকান্ডে বাধা দিলে শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন।

এমন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেকেই কিন্তু তাদের ভয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না কেউ। অনেকেই নিজের পরিচয় গোপন রাখার সার্থে বলেন তারা এলাকায় দীর্ঘ যুগ ধরে মাদক ব্যাবসা করে আসছেন। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় রয়েছে মাদক মামলাও এলাকাতে তাদের একটা সুপরিচিতি আছে মাদক সুলতান ও মাদক বাচ্চু নামে।

তারা আরো বলেন বাচ্চু ও তার ভাই সুলতান এলাকায় বিভিন্ন সময় খোলামেলা ভাবে মাদক বিক্রি করেন, এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই নষ্ট হবে এলাকার যুব সমাজ আমারা এটার দ্রুত প্রতিকার চাই এবং আইনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতিতে অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলাচলের রাস্তা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে গত (৭অক্টোবর) । আশুলিয়ার পবনারটেক এলাকায় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ির এক ভাড়াটিয়া কে ইস্যু করে বাচ্ছুসহ প্রায় ৫-৬জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ির সামনে এসে ৬০ বছর বয়সের জরিনা নামের এক বৃদ্ধাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এসময় বৃদ্ধার ছেলে জাহাঙ্গীর তার মাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় জাহাঙ্গীর ও তার বোন শিল্পীকে বেধরক মারধর করে গুরুত্বর জখম করে। সেই সাথে স্বর্ণের চেইন মোবাইলসহ প্রায় লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বাচ্চু বাহিনী।

ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর জানান, তারা থানায় দুটি অভিযোগ দায়েরের তিনদিন পর বাচ্চু একটি অভিযোগ দেন থানায়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিরুল তাদের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগের আরেক বাদি তার বোন শিল্পীকে এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এমন কী গলা কেটে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। এই ভুক্তভোগী আরো জানিয়েছেন তারা স্বপরিবারে বাচ্চু বাহিনীর হামলা ও পুলিশী হয়রানির আতংকে রয়েছেন।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিধর্শক (এসআই) আমিরুল বলেন ,হুমকি দিতে যাবো কেন? ওসি স্যার উভয় পরিবারকে থানায় ডেকেছেন আপস মিমাংসার জন্য ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.