আশুলিয়ায় বিভিন্ন মহলে টাকা দিয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করেন আক্তার হোসেন

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক :
দেশের সংকটময় মুহূর্তে থেমে নেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ।দীর্ঘ সময় আবাসিক কিংবা বাসা বাড়িতে তিতাসের বৈধ সংযোগ বন্ধ থাকলেও বন্ধ হয়নি অবৈধ গ্যাস সংযোগকারী চক্রের গ্যাস চুরি ও সংযোগ।

কতিপয় কিছু কথিত সাংবাদিকদের আশ্রয় প্রশ্রয়, রাতের আঁধারে হরহামেশাই দিচ্ছে এমন সংযোগ, সেই গ্যাস আবার বুক ফুলিয়ে ব্যাবহার করেছেন বাসা বাড়ির মালিকেরা।,কেউ -কেউ আবার কথিত নামধারী সাংবাদিক সংগঠন ও বিভিন্ন মহলে ইজারা দিয়ে অবৈধ গ্যাস বৈধ করে ব্যাবহার করছেন সেই সাথে নষ্ট করছেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

এমন একজন বাসা বাড়ির মালিক ভাদাইলের আক্তার হোসেন। যিনি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ আশুলিয়ার ভাদাইল কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায় তার নিজ বাড়িতে অবৈধ ভাবে গ্যাস ব্যাবহার করে আসছেন, যা দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে এর পিছনে রয়েছে বড় একটি চক্র এবং কথিত সাংবাদিক মহল।

যারা বাসা বাড়ির মালিকদের কাছে মাসোহারা হারে টাকা নিয়ে রাষ্ট্রের সম্পদ বেমালুম ব্যাবহার করার সহায়তা করেন।

এমন তথ্য উঠে এসেছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ হরনকারী আক্তার হোসেন এর বক্তব্য, গত ২০ সে জানুয়ারি সংবাদকর্মীরা আক্তার হোসেনের বাড়িতে অবৈধ ভাবে গ্যাস ব্যাবহারের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে, তিনি বলেন।

আমি ছাড়াও অনেকে এভাবে গ্যাস ব্যাবহার করে। তাছাড়া আমি সাংবাদিক ক্লাবের ১৭ জন সাংবাদিক কে টাকা দিয়ে থাকি আর সেই টাকা সাঈম সরকার নামের এক সাংবাদিকের মাধ্যমে দেই।

তিনি আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিক আপনারা তার সাথে যোগাযোগ করেন তিনি সব কিছু দেখেন।

এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় আশুলিয়ার শ্রীপুরে একটি টিন সেড ঘর তৈরি করে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাব নামক একটি সংগঠন তৈরি করেছেন তিনি।

যার সভাপতি হান্নান নামের এক ব্যাক্তি। অবৈধ গ্যাস ব্যাবহারকারীদের থেকে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিক সাঈম সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

অবৈধ গ্যাস ব্যাবহার ও সংযোগের বিষয়ে আশুলিয়া জোনের তিতাস গ্যাস অফিসে যোগাযোগ করা হলে খুব তারাতাড়ি উচ্ছেদ অভিযান এবং ব্যাবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন সংবাদকর্মীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.