বিশেষ প্রতিনিধি :
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়েও দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে শাহ আলম উরুপে চান্দা।
নারী নির্যাতন ও যৌতুকের তৃতীয় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবার পরেও বহাল তবিয়তে আছেন আশুলিয়ার ভাদাইলে বসবাস করা শাহ আলম ওরফে চান্দা।
জানাযায়, আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।
এ ব্যপারে সাংবাদিকদের কাছে মামলার বাদী ভুক্তভোগী ঐ নারী জানান, শাহ আলমের সাথে বিয়ের পর আমার একটা বাচ্চা হয়, এবং বিয়ের পর থেকেই সে আমাকে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
তার দাবিকৃত টাকা না দিলে সে আমাকে মারধর করে, আমি চাকরি করি, বেতনের টাকা পেলেই সে এসে জোর করে আমার বেতনের টাকা নিয়ে যায়। সে বিয়ের আগে আমাকে বলছিলো তার বউ মারা গেছে তার কোন বউ না, বিয়ের পরে তার সমদ্ধে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তার এক বউ যৌতুক দাবীর কারণে চলে গেছে।
পরেও আরো দুটি বিয়ে করে দুই বউ-ই আছে, সে নাকি তার মেঝ বউয়ের শালি কেও বিয়ে করেছে সে ঘরে একটা ছেলেও আছে। আমি সহ তার এখন তিন বউ বর্তমান।
ভুক্তোভোগী নারী আরো জানান, আমাকে ইপিজেড একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য আমার এক আত্মীয় শাহ আলমের কাছে পাঠায়। এ সময় সে আমাকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে জোর পূর্বক বেশ কয়েকবার শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
পরে আমার নিজ চেষ্টায় বাহিরে একটি পোশাক কারখানায় ভালো বেতনে চাকরি হয় এবং বাচ্চা পেটে আসে। আমি তখন আমাকে বিয়ে করতে বলি কিন্তু সে বেকার, তার মিডিয়া আনতে টাকা দরকার ২ লাখ, তার কথা শুনে সরল বিশ্বাসে আমি তাকে আমার চাকরি করে জমানো এবং বাবার বাড়ি থেকে এনে মোট দু লাখ টাকা দেই সে তখন নাসিম নামের এক লোকের সহয়তায় ২লাখ টাকা দিয়ে এশিয়ান টিভির সাভার আশুলিয়া পদে নিয়োগ চাকরি নেয়।
গরিবের মেয়ে আমি সে আমার কাছে ৫লাখ টাকা যৌতুক চায় আমি তাকে দুই লাখ টাকা দিয়েছি বলছি আর দিতে পারবোনা। কিন্তু সে আমার কোন কথা শোনে না, বাকি ৩ লাখ টাকা জন্য আমাকে মার ধর করে, মাঝে তার প্যান্টের বেল্ট খুলে আমাকে পিটায়, তার মারের চোটে আমি বেশ কয়েকবার অজ্ঞান হয়ে যাই। আমি যে বাসায় থাকি সে বাসার সবাই তার সম্পর্কে জানে, সে আমাকে ভয় দেখায় সে নাকি সাম্বাদিক, সে নাকি কোন ক্লাবের সভাপতি, আমি নাকি তার একটা পশম ছিড়তে পারবো না, পুলিশ র্যাব নাকি তার পকেটে থাকে।
কান্না জড়িত কন্ঠে ভুক্তোভোগী এই নারী আরো জানান,আমি আমার বাচ্চাটাকে নিয়ে এই পৃথিবীতে বাঁচতে চাই। আমি তার থেকে দূরে গিয়ে থেকে বাচঁতে চাই।
মামলা দেয়ার কারণে সে আমাকে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দিচ্ছে। আমি বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
আপনাদের কাছে অনুরোধ শাহ আলম কে গ্রেপ্তার করে আমাকে বাঁচতে দিন। নতুবা আমি ও আমার সন্তান কে নিয়ে আত্মহত্যা করে এ পৃথিবী থেকে বিদায় নিবো।
জানাযায়, আশুলিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে অন্তত ৫টি মামলা এবং অসংখ্য অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি রয়েছে। এছাড়াও ঢাকার আদালতে ধর্ষণচেষ্টা, হত্যা চেষ্টা, চেকজালিয়াতি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এলাকায় একজন কুখ্যাত ব্যাক্তি হিসেবে তার বেশ বদনাম রয়েছে।
এ ব্যপারে শাহ আলমের বিরুদ্ধে দায়ের কৃত মালমার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রাপ্ত আশুলিয়া থানার এস আই রাজু মন্ডল জানান, তিনি অন্য মামলা নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকার কারনে এদিকে সময় দিতে পারেনি।এখনো তিনি অন্য মামলা নিয়ে ঢাকা কোর্টে অবস্থান করছেন