আহসান হাবীব :
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে আবদুল জলিল যোগদানের পর থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ,দূর্নীতি,ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত করতে নিরলস ভাবে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও তিনি জঙ্গিবাদ, নাশকতা প্রতিরোধ, সন্ত্রাস দমন, অস্ত্র উদ্বার, খুনের রহস্য উদঘাটন, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি, অবৈধ পন্য উদ্ধার, জানজট নিরসন, মাদক ব্যবসা নির্মুল সহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। রায়পুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল জলিল গত ৭ জুলাই ২০২০ ইং তারিখে অত্র থানায় যোগদান করেন। রায়পুর উপজেলাকে সন্ত্রাস মুক্ত করতে গিয়ে পুলিশকে সর্বদা প্রস্তুত রেখেছেন। রায়পুর উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণকে রাতে নির্ভিগ্নে ঘুমানোর এবং রাস্তার মানুষদের চলাচল সহজ করার জন্য তিনি জীবন বাজি রেখেছেন। কোন ভয় ভীতি থামাতে পারেনি তাকে। যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য তিনি থানা এলাকাকে মাদক মুক্ত ঘোষনা করেন। এ জন্য রায়পুরে কুখ্যাত মাদক সম্রাটকে আটক করে মাদক আইনে মামলা দিয়ে পাঠিয়েছেন আদালতে। ওসি আবদুল জলিল যোগদানের পর থানা অভ্যর্থনা ও সার্ভিস ডেলিভারী ডেক্স চালু করেছেন, যাতে করে সাধারণ জনগন নারী ও শিশুদের বিশেষ সেবা প্রদান করা যায়। এছাড়া থানায় আসা সাধারন মানুষ যাতে সহজে সার্বক্ষনিক সেবা পায় তার জন্য একজন অফিসার নিয়োগ করেছেন। এতে করে খুব সহজে সেবা পাচ্ছে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে বলে দাবী করছে সাধারণ মানুষ। এর ধারাবাহিকতা সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে অনেক পরিবারকে করছে এক, আবার অনেক শিশুকে দিয়েছে সুন্দর আলোর পথ। তিনি বিভিন্ন এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা কমিটি গঠন, পূজা মন্দিরে পূজা কমিটি গঠন, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ৯টি ওয়ার্ডে জঙ্গি, সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি গঠন করেন। আর এতে করে এখন পর্যন্ত রায়পুর থানা এলাকায় কোন জঙ্গি তৎপরতার ঘটনা কিংবা কোন মামলা হয়নি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও সমাজ হতে মাদককে না বলা যুব সমাজকে রক্ষার জন্য প্রত্যেক এলাকায় একাধিক বৈঠক সহ মাদক কারবারিদেরকে গ্রেফতার করে মাদক মুক্ত করার জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। রায়পুর থানায় যোগদান করার পর থেকেই সন্ত্রাসী ও কুখ্যাত মাদক সম্রাটদের কাছে এক মুক্তিমান আতংক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গিকার করায় কয়েকজন মাদক কারবারিকে স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ দিয়েছেন। বামনী ইউনিয়নে আলোচিত শিশু ববিতা সাহা (১০)কে গলাটিপে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে অভিযুক্ত স্বামী স্ত্রীসহ আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। হত্যাকারীদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। আগে রায়পুর উপজেলায় কেরোয়া ও বামনী ইউনিয়ন সহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে অহরহ ডাকাতির ঘটনা ঘটত। এখন আর তা হয়না বল্লেই চলে। তিনি রাতের বেলায় সময় পেলেই পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ান এবং যেখানে সমস্যা সেখানেই সমাধানের ব্যবস্থা করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন, ওসি আবদুল জলিল যোগদানের পর থেকে রায়পুরে আইনশৃঙ্খলা, মাদক, চুরি-ডাকাতি বন্ধ হয়েছে। উনি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার কারণে এখন মাদক অনেকটাই নির্মুলের পথে। তার সফলতা কামনা করি। পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র গিয়স উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন,তিনি রায়পুরে যোগদানের পর হতে জনতার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। ওসি আবদুল জলিল তরিৎ কর্মা হিসেবে জনশ্রুতি রয়েছে।
কথা হলে রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল জলিল বলেন, এ উপজেলায় পূর্বে যে সকল মাদক কারববারি, এবং থানা এলাকায় বিভিন্ন ধরনের শালিস বানিজ্যের নামে অপকর্ম করতো তারা আজ অনেকটা দূরে চলে গেছেন। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে এখানকার মানুষদের সহযোগীতার জন্য। তাদের সহযোগীতায় সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি। একাজগুলো অব্যাহত থাকবে। পুলিশ মানুষের বন্ধু বা আপনজন এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছি।