লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড :
বিশ্বব্যাপী চলমান আতঙ্কের নাম করোনা বা কোভিট-১৯। যা বিশ্ব জনগোষ্ঠিকে করেছে অস্থির, বিশ্ব বানিজ্য হয়েছে স্থবির, বিশ্ব অর্থনীতি আজ গতিহীন। রাষ্ট্রীয় অ-ব্যবস্থাপনা জনমনে তৈরি করেছে ভিন্ন ধারার প্রশ্ন। জাগ্রত অনুভূতি অ-প্রকাশ্যে মুখ থুবরে পরেছে, বাকহীনাতার করুণ অসহায়ত্বে- কি হচ্ছে আর কি হবে? কর্তৃপক্ষহীন আকুতির নীরবতায় আমরা ধ্বংস হওয়ার পথে।
সত্য প্রকাশ অসত্যের স্লোগানে চোরাবালির মতো বিলিন হয়ে চলা এক বোবা আর্দ্রনাত যেন অভিভাবক শূন্যতা অনুভব করে চলছে।
আমরা প্রকৃতির পরিবর্তন বুঝেও যখন, ভিন্নমতাদর্শে অভিন্ন দৃষ্টি নন্দন- তখন আমরা জাতীয় চেতনার সাধ ভুলে ধর্মীয় অনুভূতি শূণ্য করে বাঁচতে চাই।
করোনা একটি রোগবাহী জীবানু- জনে জনে স্পর্শ দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি আজ বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও স্ব-দেশীয় ব্যবস্থাপনায় শুরু হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইন। সংক্রমিত এলাকা ও আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য সৃষ্টি হয়েছে বাড়ী, পাড়া, গ্রাম, থানা, জেলাসহ বিভাগীয় পর্যায় অতিক্রম করে দেশব্যাপী লকডাউন পদ্ধতি।
চিকিৎসা ব্যবস্থায় পূর্বের পদ্ধতির সাথে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রার অসস্তিকর জন-সচেতনতা। যার নেই কোন যৌক্তিক উপলব্ধিগত কারন কিংবা প্রচলিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিক কোন সমাধন।
নির্ধারিত ব্যবস্থার বাইরে কর্মবিরতির মাধ্যমে দেশের ৮০% মানুষকে করা হয়েছে কর্মহীন। কর্মদাতারা ধাপে ধাপে শ্রমকর্মীদের করে চলেছে বিভ্রান্তি, পরিবার ও সমাজ ব্যাপী তৈরি করছে অশান্তি। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে করে তুলেছে কৃত্রিম দুর্ভোগের দ্বারা মহামারি।
অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার স্বেচ্ছাচারিতায় সচেতন সুধী সমাজও নির্বাক, বাকহীন কন্ঠতায় দুমরে পরে আছে বিছানায়। সমাজের একাংশ তারনায় পরে করছে বিক্ষোপ, বাঁচার জন্য খাদ্য চায় নয় তো কর্ম সচল চায়। আর দোদল বান্দা কলেমা চোর “জাতির বিবেক” ছাগলের তিন নম্বর বাঁচ্চার মতো অকারনে গণমাধ্যমে কি সব প্রকাশ প্রচারণায় মিথ্যে গর্বে গর্ভপাত ঘটায়।
বিশ্ব যখন লাশ টানে- আমরা তখনও সাহায্য লুকিয়ে নিজেদের বদনাম কামাই। করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ যায় আইশোলেশনে আর ত্রাণাক্রান্ত হয়ে জন প্রতিনিধিরা অপরাধের দ্বায়ে যায় জেল হাজতে। ডাক্তার পালিয়ে বেরায় সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে, ফলে বিনা চিকিৎসায় মারা যায় সাধারন রোগী। ভিন্ন রোগে মৃত্যু ব্যক্তি প্রবাহিত হয় করোনায়, যার দ্বায়ে হয় না তার শেষ সৎকাজের সঠিক সমাধি।
এ যেন মৃত্যু থেকে পালিয়ে বেড়ানোর বিফল চেষ্টা- মনে পরে গেল সেই কথা” কান নিয়ে গেছে চিলে- ছুটছিও তাই চিলের পিছে। কেউ বা কানে হাত দিয়ে দেখছি কান আছে কি-না !
বাঁচার জন্য খাদ্য চাই- কেউবা খাওয়ার জন্য বাঁচতে চাই। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রযন্ত্রটা আজ তালগোল পাকিয়েছে- সময় বেঁধে দিয়েছে বাজারের, মানুষ্য জরুরী চলাচলের। সীমাবদ্ধতা করছে ধর্মীয় কাজের। নজরদারি এনেছে জনসমাগম ও গণজমায়েত নামীয় ইস্যু দিয়ে।
করোনা কোন রোগ নাকি ইস্যু?…দুর্যোগটা প্রাকৃতিক না কৃত্রিম?…প্রশ্ন দুটো যাই হোক দুর্ভোগ ও গণ অশান্তি কিন্তু সত্য…থেমে যাচ্ছে দেশের কর্মহীনতার নিত্য…কৃষকের রাখালি গান বে-সুর না বাজে।
অনেক কথা বলার, বললে কার বা কি যাবে এসে- একদিন সব থেমে যাবে পৃথিবী আবার শান্ত হবে।
উল্লেখ্য যে, শারীরিক পরিষ্কার ও পবিত্রতার পর অযু করে মুসল্লিগণ নামাজ পড়তে যায় মসজিদে, যেখানে থাকে না কোন খাবার আয়োজন, খরচ করার উপকরন বা খাদ্য সামগ্রী। মহান আল্লাহ্-র দরবারে সুখ-সমৃদ্ধি, বালা-মুসিবত ও রোগ নিরাময়ের জন্য করে প্রার্থনা। খালি হাতে মোনাজাত খালি হাতেই বাড়ী ফেরৎ।
অথচ, অযু কিংবা গোসল বাধ্যবাধকতায় কেউ বাজার করে কিনা আমার জানা নাই। যেখানে নিত্যদিন গণজোয়ারে জনসমাগমে নিত্যপণ্য খাদ্যসামগ্রী নারী/পুরুষ চলছে সমানে। করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কোথায়…? বুঝতে বুঝি কারো বাকী রইলো না। অযু করে কেউ বাজারে কিনতে যায় না…
মনে রাখবেন- পৃথিবীর সর্বত্তম জায়গা “মসজিদ”
আর সর্বনিকৃষ্ট জায়গা “বাজার”
বিঃদ্রঃ অ-ব্যবস্থাপনাই আপনাদের বিবেচনা…