বিশেষ প্রতিনিধি :
কেউ অভিযোগ না করলে কর্তৃপক্ষ কিছু জানেন না,কথায় আছে দশদিন চোরের,একদিন গৃহস্হালির-জানা যায় এএসআই খলিল ও ইসমাঈল পুরো বরুড়া উপজেলায় দালালের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে কত টাকা কামিয়েছে তাঁর হিসেব নেই। কত নিরপরাধ মানুষের হাতে হাতকড়া লাগিয়ে সামাজিকভাবে অপদস্থ করেছে তারও হিসেব নেই। নিজেদের এস আই পরিচয় দিতো তারা এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের দুজনের ভালো সম্পর্ক ছিলো
কুমিল্লার বরুড়া থানায় ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগে দুই এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে। উপজেলার শাকপুর গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে বরুড়া থানা পুলিশের এএসআই ইব্রাহীম খলীল ও ইসমাইল হোসেনকে রোববার রাতে ক্লোজড করা হয়।
ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, গত ২০ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে এএসআই ইব্রাহীম খলীল ও ইসমাইল হোসেন ফরিদকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসান। এ সময় শিপন নামের এক কিশোরকেও আটক করা হয়। রাতেই দালালের মাধ্যমে ফরিদকে ১ লাখ টাকা এবং পরদিন কিশোরকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
পরে আরো ৩০ হাজার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন ওই দুই পুলিশ সদস্য। টাকা না পেয়ে কিশোরের বাড়ি থেকে একটি ছাগল নিয়ে যান তারা। পরে ফরিদ ২২ জানুয়ারি কুমিল্লা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে রোববার রাতে ওই দুই এএসআইকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়।
এ বিষয়ে বরুড়া থানার ওসি (তদন্ত) ইকবাল বাহার জানান, দুই এএসআইকে প্রশাসনিক কারণে ক্লোজড করা হয়েছে।