ফারুক আজম :
কুমিল্লা ইপিজেড এর সিং সাং সু কোম্পানীর মানবসম্পদ কর্মকর্তা খাইরুল বাসার সুমন হত্যা মামলার অাসামী ছাব্বির হোসেন কে গ্রেফতার করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এস অাই শাহীন কাদির। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত মোটর সাইকেলটি ও জব্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে এমামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী সহ ৪ জনকে অাটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ছাব্বির হোসেন কোতয়ালী মডেল থানাধীন নগরীর উত্তর চর্থা এলাকার মালু মিয়া বাড়ীর তাজুল ইসলাম এর ছেলে।ছাব্বির কে আটকের পর তার দেখানো তথ্য মতে নগরীর দেশওয়ালীপট্টি একটি গ্যারেজ থেকে হত্যাকান্ড ব্যবহ্নত নম্বর বিহীন পালসার মোটরসাইকেল টি জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৩০ এপ্রিল-২১ শুক্রবার কুমিল্লা ইপিজেড এর সিং সাং সু কোম্পানির মানবসম্পদ কর্মকর্তা খাইরুল বাসার সুমন কে ইপিজেড এর প্রধান ফটকের সামনে রোসা ও বার্জার ডিপোর সামনে মোটরসাইকেল ব্যারিকেড দিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন করে সন্ত্রাসীরা।এ ঘটনায় সুমনের ভাই বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামী করে গত ১ লা মে -২১ সদর দক্ষিন মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন আসামি আটক না হওয়ায়, মামলাটি অদিকতর তদন্তের স্বার্থে জেলা গোয়েন্দা শাখায় ন্যাস্ত করলে এর তদন্তভার পায় ডিবির এস অাই শাহীন কাদির। হত্যার সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে সুমনের বন্ধুরা ফ্রেন্ডস অব কুমিল্লা-২০০১, ও বিভিন্ন সংগঠন মানববন্দন করে।তদন্তে নামার ২ দিনের মধ্যে প্রধান আসামী সহ ৩ জনকে অাটক করতে সক্ষম হয়। এর মধ্য এজাহার নামীয় প্রধান আসামী মহিউদ্দিন ও ফাহিম হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এস অাই শাহীন কাদির জানান, মামলাটি তদন্তভার হাতে পেয়েই আসামী গ্রেফতারে অভিযানে নামী,পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম-বার স্যারের নির্দেশনা মতে খুব দ্রুত ৪ জন আসামী গ্রেফতার করতে সক্ষম হই,বাকী আসামীদের ও দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হব বলে আশা করি।ইতিমধ্যে ২ জন আসামী দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। আশা করি দ্রুতই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।