নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার উপজেলার খয়রাবাদ গ্রামে প্রেম বিনিময়ে বিয়ে হওয়ার তিন মাস পার না হতে ডির্ভোস হয়, কিন্তু তিন মাসের বাচ্চা টাকে বিক্রি করে দিয়েছে নরপশু বাব আবুল খায়ের ও চেয়ারম্যান এর সহযোগী মোঃ রুবেল মিয়া ও স্থানীয় মেম্বার আঃ রশিদ মিয়া সহ খয়রাবাদ গ্রামের প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় অপ কর্মের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সূত্রে জানা গেছে খয়রাবাদ আহমদী সরকার বাড়ির শহিদ হোসেনের ছেলে খায়ের আহমেদ এর অবৈধ রিলেশন গড়ে ওঠে একই বাড়ির জসিম উদ্দিনের মেয়ে নাদিয়া আক্তারের সাথে,রিলেশন চলা অবস্থায় মেয়েটা অন্তঃসত্ত্বা ছিলো,বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি সহ টাকার লোভ দেখিয়ে,, নাবালক মেয়ের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে বাধ্য ছেলে খায়ের আহমেদ,, তাদের এই অবৈধ কারনে বিয়ের আগেই বাচ্চা জন্ম হয় মেয়ের ।
বিষয়টা জানাজানি হলে গর্ভে ধারনকৃত বাচ্চাটাকে নষ্ট করে ফেলার জন্য জোরজবস্তি করে খয়রাবাদ এলাকার মেম্বার সহ ছেলের পরিবার ও তাদের কিছু আত্মীয়-স্বজন।
ছেলের ভাই কাউসার , রুহুল আমিন,ও স্থানীয় মেম্বার আব্দুল রশিদ ও চেয়ারম্যানের বিশ্বস্থ লোক রুবেল ,বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য,কিছু টাকা দিয়েছিল মেয়ের পরিবারকে, কিন্তু মেয়েটা ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে বাচ্চাটাকে অপারেশন করানো যাবে না বলে জানিয়েছেন ডাক্তার।
সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের সাহায্যে পাঁচ দিনের বাচ্চা সহ ছেলে খায়ের আহমেদ ও মেয়ে নাদিয়া আক্তারের বিয়ের কার্য সম্পন্ন হয়,কিন্তু ছেলে সহ ছেলে পক্ষের কেউই এই বিয়েতে রাজি ছিল না।
এরই জেরে একের পর এক আক্রমণ চালায় মেয়ে ও তার পরিবারের উপরে, এবং মেয়ের বড় ভাইকে মেরে ফেলার হুমকিসহ বাড়ি ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয় স্থানীয় মেম্বার আব্দুল রশিদ, ছেলের ভাই কাউসার , রমিজ মিয়ার ছেলে হাছান, ফজলু মিয়ার ছেলে স্বপন, ও রুহুল আমিন ।
সালিশের নামে এক প্রকার জোরজবস্তি করে মেয়ের পরিবারকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে মেম্বার ও তার লাঠিয়াল বাহিনী, কাবিনের আড়াই লক্ষ টাকা দিলেও ৩ মাসের বাচ্চাটাকে তার মায়ের কাছে না দিয়ে,মেম্বার ও ছেলে পক্ষ অন্যত্রে বিক্রি করে দিয়েছিলো।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে, গণমাধ্যমকর্মীরা ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পরে,ছেলে সহ পরিবারে সবাই বাড়িঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়, ঐ দিন রাতেই নোয়াখালী থেকে বাচ্চাটাকে নিয়ে আসে, কিন্ত বাচ্চাটাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়নি ,বরং গণমাধ্যমকর্মীরা কেনো গেলো এজন্যে তাদের মারধর করতে যায় রমিজ মিয়ার ছেলে হাছান, ফজলু মিয়ার ছেলে স্বপন।
মেয়ে পক্ষ থেকে, তাদের উপরেই এই অমানবিক নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার ও বাচ্চাটা কে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্যে, এবং নিরাপত্তা নিয়ে তাদের গ্রামে বসবাস করতে পারে এ জন্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন মেয়ের পরিবার।