কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা লাকসাম পৌর-শহর ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিমঁগাও আল আমিন স্কুল এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
(১৬ জানুয়ারী)রোববার বিকালে লাকসাম পৌরশহরে পশ্চিমঁগাও এলাকায় মতিন প্রফেসর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চিরকুটটি উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূ নাজমা আক্তার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরেসপুর ইউনিয়নের গোপালপাড়া গ্রামের মৃত রোওউশন আলী মেয়ে ও একই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে প্রবাসী নাছির উদ্দীনের স্ত্রী।
স্বামী বিদেশ থাকায় দুই সন্তান নিয়ে নাজমা আক্তার অনেক বছর ধরে লাকসাম দক্ষিণ বাইপাসসহ লাকসাম পৌরশহরে পশ্চিঁমগাও এলাকায় ভাড়া বাসায় নিয়ে থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লাকসাম পৌরশহরে ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিঁমগাও এলাকায় আবদুল মতিন প্রফেসরের ৪তলা ভবনের নিচ তালায় ভাড়া থাকতেন নাজমা আক্তার। দুই দিন আগে বড় ছেলে নাহিদ (৭) নানার বাড়ির মনোহরগঞ্জে যায়। রোববার ছোট ছেলে নাফিজকে (৪) সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে শোবার ঘরে যান। পরে নাজমা আক্তার তার স্বামী নাছির উদ্দীনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। এ সময় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিকাল ৪টার দিকে ছেলে নাফিজের সামনে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নাজমা। এ সময় নাফিজের চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে এসে নাজমাকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার হাতে থাকা চিরকুটটি উদ্ধার করে।
আমি বাচঁতে চাই না, আমি মরতেই চাই, আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্বামীই দায়ী’ চিরকুটে এ কথা লিখে নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই সন্তানের জননী নাজমা আক্তার (২৮)
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রাথমিক সিমটম দেখে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। তবু মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।