কুমিল্লার সদর দক্ষিণে হলুদ তরমুজ এর পর অকাল শসা চাষে কৃষক আনোয়ারের সাফল্য

অর্থনীতি

এম শাহীন আলম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা (দক্ষিণ) এলাকার বলরামপুর গ্রামের মৃত কাজী আলী আকবরের ছেলে কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেন। আনোয়ারের ২ মেয়ে ১ ছেলে নিয়ে কোন রকম সংসার চলছে। ছোট বেলা থেকে আনোয়ারের স্বপ্ন ছিল ভালো ভাবে কৃষি চাষে সফলতা অর্জন করার। ইউটিউবে কৃষি প্রোগ্রাম দেখে কৃষক আনোয়ার কৃষিকাজের যাত্রা শুরু করে, ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন বিদেশি প্রজাতির তরমুজ চাষ করে সফলতা অর্জন করেন। তার পরে ২০২১ সালে ইউটিউব দেখে আবারও ঢাকা গাজীপুর এলাকার তিন জাতের শসা চাষ করে কি ভাবে সফলতা অর্জন করেছে তা দেখে কৃষক আনোয়ার উৎসাহ হয়ে শশা চাষ করা শুরু করে। প্রথমে তিন জাতের বীজ সংগ্রহ করেন গাজীপুর এলাকা থেকে, বীজের মূল্য হচ্ছে ১৩ হাজার টাকা । প্রথমে বীজ রোপণ করার পরে
চারার আগাছা হওয়ার পরে পাখি খাওয়ার কারনে প্রথম চালান নষ্ট হয়ে যায়। তবে পদ্ধতি পরিবর্তন করে দ্বিতীয় বার আবার বীজ রোপণ করেন, পদ্ধতি পরিবর্তনের কারণে চারাগাছ ভালো ভাবে হয়েছে বলে জানান। তার পর ২২০ শতকের জায়গায় শসা চারা গাছ রোপণ করেন, এক মাসের মাথায় শসার ফলন আসতে শুরু করে।তিনি জানান শ্রমিক খরচ ও সকল কাজ মিলিয়ে প্রায় ব্যয় হয় ১,৮০,০০০ টাকা। তিন জাতের বীজের শসা প্রথম জাত ইস্পাহানি শসা, দ্বিতীয় জাত তানিম প্লাস শসা, তৃতীয় জাত শুকতারা শসা, কৃষক আনোয়ার বলেন তিন জাতের শসার মধ্যে কোন রকম বিষ নাই, বিষমুক্ত শসা ক্ষেতী করেছি । নিজের মেধা ও প্রযুক্তি খাটিয়ে শসা ফসলের সাফল্যতা অর্জন করেছি। বর্তমানে তিন জাতের শসা পাইকারিভাবে আমি বিক্রি করছি ৪৫ টাকা কেজি , অন্যরা যদি আমার মতো প্রযুক্তি খাটিয়ে কৃষিক্ষেত করেন তাহলে অনেক লাভবান হবেন। এই বিষয় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি অফিসার মো হাবিবুল বাশার চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে শসা ক্ষেতি সফলতা অর্জন করেছে, তাই উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেনকে ধন্যবাদ। কৃষি অফিস থেকে তাকে সবসময় পরামর্শ দিয়ে থাকি, সেই পরামর্শ অনুযায়ী সে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষক আনোয়ারে সাথে সরেজমিনে দৈনিক বাংলা খবর প্রতিবেদক এম শাহীন আলম তার সফলতা তুলে ধরেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.