বিশেষ প্রতিবেদক :
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানা এলাকার শ্রীভল্লবপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা অতঃপর গ্রেফতার ।
জানা যায়, অভিযুক্তের ২মেয়ের মাঝে বড় মেয়ের সাথে ঘটনাটি ঘটে । গত শনিবার (৩০ জুলাই) মেয়ে মাদরাসা থেকে ঘরে এলে সে সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় মেয়েকে ২০ টাকা দিয়ে জোড়করে পাষবিক নির্যাতন চালায় কুলাঙ্গার সৎ পিতা। পরে মেয়েটি তার মাকে বিস্তারিত জানায়।
সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি সমাধান করতে চাইলেও মেয়ের মা আপত্তি জানায়। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সুমন মিয়ার স্ত্রী। সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী অভিযোগটি আমলে নিয়ে অভিযোগের পরপরই সোমবার রাতে লম্পট আসামীকে আটক করে কুমিল্লা আদালতে সোপর্দ করেন।
মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। ১১ বছর বয়সী নিজ কন্যাকে ধর্ষণের সংবাদে কুমিল্লা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। মা হাজেরা (ছদ্মনাম) বলেন, আমি কুমিল্লা ইপিজেডে চাকরী করি। আমার আগের সংসারে একটি মেয়ে জন্ম হয়। ঐ স্বামীর সাথে আমার ডিভোর্স হয়ে যাওয়াই সুমনকে (২য় স্বামী) আমি বিয়ে করি। সুমনের ঘরে আমার আরেকটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। আমার আগের সংসারের সন্তানটি এলাকার মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ে। সে মাদরাসায় থাকতো আজ ঘর থেকে কিছু কাপড় নিতে এলে এই ঘটনা ঘটে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ঘটনার পর অভিযোগ পেয়ে দ্রুত আইনানুগ সকল কাজ শেষ করি। আসামী পলাতক থাকলেও পরবর্তীতে খবর পেয়ে রাতের মধ্যে আসামীকে আটক করি। আটক আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।