মোঃ রফিকুল ইসলাম
অর্থের অভাবে হতদরিদ্র পিতামাতা নবজাতককে হাসপাতালে ফেলে রেখে উধাও।
বিষয়টি ফেজইজবুকের মাধ্যমে নজরে আসায় চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব নিলেন পুলিশ সুপার।
গত ৫ জুলাই দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সদর উপজেলার আড়াইওরা গ্রামের হতদরিদ্র মিজানের দুটি জমজ সন্তান জন্ম হয়। এসময় ছেলে শিশুটি মারা যায় এবং মেয়ে শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। কিন্তু হতদরিদ্র ওই পরিবারটির ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার আর্থিক জোগান না থাকায় তাকে নিয়ে আসা হয় নগরীর ঝাউতলা এলাকার কুমিল্লা মা ও শিশু স্পেশালাইজড হাসপাতালে। ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে বাবা উধাও। আর মা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তির সময় যে নাম্বার দেয়া হয়েছিল, সে নাম্বার কখনো বন্ধ থাকে আবার কখনো খোলা থাকলেও ফোন রিসিভ হয়নি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাবাকে খুজে না পেলেও মায়ের সন্ধান পায় এবং শিশুর শারিরীক অবস্থার বিষয়ে অবগত করে। ৮ জুলাই মা হাসপাতালে আসলেও আর্থিক জোগান না থাকায় বিভিন্ন স্থানে পরিবারের সদস্যরা সহযোগিতা চাইতে থাকেন। বিষয়টি কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের নজরে আসার পর তিনি চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহনের দায়িত্ব নেন। এমন সংবাদ পেয়ে শিশুটির বাবা ও অন্যান্য স্বজনরা রবিবার দুপুরে হাসপাতালে ছুটে আসেন। তারা জানান টাকা না থাকায় শিশুটিকে নেয়ার জন্য হাসপাতালে লজ্জায় আসা হয়নি।
হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, শিশুটি অপরিপক্ক হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছে। বর্তমানে আগের চেয়ে সুস্থ্য রয়েছে। তার ওজন সাড়ে ৭শ গ্রাম।
মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা অভিভাবকহীন এ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়েছি। শিশুটিকে জীবিত রাখাই ছিল আমাদের সর্বোচ্চ লক্ষ্য
সট- বদিউল আলম চৌধুরী, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কুমিল্লা মা ও শিশু স্পেশালাইজড্ হাসপাতাল,
৭ দিনে এ চিকিৎসার ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। শিশুটিকে সুস্থ্য করে তুলতে আরো অর্থের প্রয়োজন।
![](https://doinikbanglakhobor.net/wp-content/uploads/2020/07/received_1017507161985802.jpeg)