কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার বরুড়ায় ফারজানা আক্তার (২০) নামের এক পুত্রবধূকে বিয়ে করলেন শশুর মহসিন মিয়া।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুরে ভবানীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের খাদিজা আক্তার পুতুল নামের এক মানবাধিকার কর্মী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি’র মানবাধিকারকর্মী খাদিজা আক্তার পুতুল বলেন, উপজেলার ভবানীপুর ইউপি’র লক্ষ্মীপুর(উঃ) গ্রামের মৈশান বাড়ির মহসিন মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী আল আমিনের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার মেয়ে ফারজানার ভালোবেসে বিয়ে হয় বছর দুয়েক আগে।
ফারজানা কুমিল্লা ইপিজেডে একটি সুতার ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। আল আমিন কুমিল্লা শহরে সিএনজি চালাতো। বিয়ের পর ফারজানার জমানো টাকা দিয়ে আল আমিন সৌদি আরবে যায়।ভালোবেসে বিয়ে মেনে নিতে না পেরে বিয়ের পর থেকে ফারজানার ননদ ফাতেমা ও শাশুড়ী মোর্শেদা বেগম বিভিন্ন অজুহাতে নির্যাতন করতো ফারজানাকে। ফারজানার বাবা-মা কেউ জীবিত না থাকায় তার উপর বেশি-ই নির্যাতন করা হতো। বিয়ের দেড় বছর পর শশুড়ের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক আছে এমন অভিযোগে জোর করে তালাক নামায় সই করিয়ে নেওয়া হয় ফারজানার কাছ থেকে। তালাকের ৩ লাখ টাকা তাকে দিয়ে সে টাকা আবার ননদ শাশুড়ি কেড়ে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এসবের প্রতিশোধ নিতে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ঢাকায় একটি কাজী অফিসে শশুর মহসিন মিয়াকে ১০ লাখ টাকা কাবিন করে বিয়ে করেন নেয় ফারজানা বেগম বলে জানান ঐ মানবধিকার কর্মী খাদিজা আক্তার পুতুল।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহআলম জানান, দুদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে মহসিন। তার ফোনে কল দিলে এক নারী রিসিভ করে বলে আমি তাকে বিয়ে করেছি।
সে আমার স্বামী।তবে আমি যতটুকু জেনেছি পুত্রবধূকে শশুড়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক আছে এমন অভিযোগ দিয়ে জোর করে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাই পুত্রবধূ ক্ষিপ্ত হয়ে এ কাজ করেছে বলে শুনেছি।
এ বিষয়ে বরুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন,আমি শুনেছি এমন ঘটনা ঘটেছে।আমি অন্য একটা কাজের ঝামেলার কারনে এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না।আমি বিস্তারিত জেনে পরে জানাতে পারবো।