কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে লতিফ

অপরাধ

হালিম সৈকত,কুমিল্লা থেকে :
কুমিল্লার হোমনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে মির্জানগরের নিরীহ লতিফকে।
বর্তমানে সে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আঃ লতিফ হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। তার পুরো শরীর সাদা হয়ে গেছে। কয়েক ব্যাগ রক্ত তার শরীরে দেওয়ার পরও রক্ত শূন্যতা দেখা দিয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণেই তার শরীরের এমন অবস্থা। সুস্থ্য হতে কত সময় লাগবে তা বলা যাচ্ছে না। লতিফের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীর দুটি হাত, দুটি পা একেবারেই ভেঙ্গে ফেলেছে। ভবিষ্যতে চলাফেরা করে খেতে পারবে কিনা আল্লাহ মালুম। আমরা গরিব মানুষ, এখন আমার পরিবারের কি উপায় হবে? আজিকুল টাকার গরমে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এমন কর্মকান্ড করছে। হাসপাতালের বেডে কাতরকন্ঠে লতিফ বলেন, আমাকে হত্যার ছক অনেক আগে থেকেই করেছে আজিকুল। ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় আমি ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকাও তোঁতা মিয়া ছেলে আজিকুলের নেতৃত্বে নজরুল, আবুল, শামীম,, ইউসূফ। নবী,, সাহাবুদ্দিন, মোস্তফা, অমর ও রাকিবসহ ১০-১৫ জনের দলটি দেশীয় অস্ত্র রাম দা, এক কাইট্টা, ,লোহার রড, পাইপ, পিস্তল দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো। আমি থানায় মামলা করতে পারছি না, আজিকুলগংরা টাকা দিয়ে থানা কিনে ফেলেছে। বাধ্য হয়ে কোর্টে মামলা করেছি। আমি ভূমি খেকো আজিকুল বাহিনীর অত্যাচারের বিচার দাবী করছি।
অপরদিকে হোমনায় জয়পুর বাজারে গিয়ে আজিকুলকে পাওয়া না গেলেও তার অনুসারী ইউসূফ নবী বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, গত ৮ অক্টোবর লতিফের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল আমার বাসায় ভাংচুর ও লুটপাাট চালায়। আমি বাসায় ছিলাম না। খবর শুনে বাজার থেকে এসে দেখি আমার ঘরের আলমারি ভেঙ্গে আশি হাকার টাকা নিয়ে যায়। সোকেস ভাংচুর করে, আমি দিতে গেলে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। পরে বাজার থেকে বিপুল সংখ্যক লোক তাদেরকে ধাওয়া করলে লতিফ পড়ে গিয়ে আহত হয়। ছাদেক নামে আরেকজন বলেন, আমরা মাদক বিরোধী আন্দোলন কেন করলাম? তার রেশ ধরেই সে পর পর চারজনকে মারধর করে। তার অত্যাচার এলাকায় থাকা দায়। উভয়পক্ষের মামলাই প্রক্রিয়াধীন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.