রংপুর পীরগঞ্জে স্কুল ছাত্র খুনের প্রকৃত হত্যাকারীদের অন্তভূক্তম না হওয়ায় মানববন্ধন

অপরাধ

আনোয়ার হোসেন, রংপুর থেকে :
রংপুরের পীরগঞ্জে নিখোঁজের ৩দিন পর ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্র তৌহিদুল ইসলাম ওরফে নাইফুল ইসলাম হত্যার প্রকৃত আসামীদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় না আনার অভিযোগে মানববন্ধন করেছে এলাকার সহস্রাধিক নারী পুরুষ। এতে বক্তব্য রাখেন- নিহত স্কুল ছাত্রের বাবা নুর আলম, নিহতের বড়ভাই ফিরোজ মিয়া, চাচা আল আমিন, গ্রামবাসী আলমগীর হোসেন, শাহীনুর ইসলাম প্রমূখ।

রোববার (২৩ মে) দুপুরে উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন শাল্টি সমস দীঘি সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটি বিশেষ দলের নেতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হস্তক্ষেপে মামলাটি প্রভাবিত করে প্রকৃত অপরাধীকে আড়ালের চেষ্টা করা হচ্ছে। মামলার ১নং আসামী উমর ফারুক ওরফে সামিউল তার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দির প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হলেও হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা অন্যান্য অপরাধীরা বীরদর্পে এলাকায় ঘোরা-ফেরা করছে।

উল্লখ্য, উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের পালগড় গ্রামের নুর আলম মিয়ার পুত্র ও শাল্টি সমস দিঘী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্র নাইফুল ইসলামকে প্রতিবেশী আব্দুস সালাম এর পুত্র সামিউল ইসলাম (১৪) গত ২৩ এপ্রিল শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ঐদিন থেকেই নাইফুল নিখোঁজ। নাইফুল ও সামিউলের মধ্যে সামান্য বয়সের ব্যবধান থাকলেও একই গ্রামের হওয়ায় তাদের বন্ধুত্ব ছিল। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় দু’বন্ধু মিলে স্থানীয় ইটভাটায় শ্রমিকের কাজও করতো। স্কুল ছাত্রের পরিবার নাইফুলের সন্ধান চেয়ে সামিউলকে বারবার জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, আমরা দু’জন একসঙ্গে স্থানীয় কলোনী বাজারে যাই। বাজার থেকে নাইফুল কোথায় গেছে তা সে জানেনা। সামিউলের কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে নাইফুলের পরিবার পুলিশে সংবাদ সংবাদ দেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে নাইফুল হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় এবং তার তথ্যর ভিত্তিতে পুলিশ পালগড় গ্রাম সংলগ্ন তাদের নিজের অগভীর নলকুপ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা নাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করে

Leave a Reply

Your email address will not be published.