জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কুয়াকাটা থেকে :
ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কলাপাড়া উপজেলায় বারবার ঘটছে সরকারি জমি ও খাল ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা, সেই স্থাপনাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন, কুয়াকাটায় খালের উপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন প্রশাসন।
সোমবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা পৌরসভার নবীনপুর সরকারি খাল দখল করে নির্মিত মেয়র বাজারের ১৫-২০ টি পাকা ও কাঁচা স্থাপনার বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ওই বাজারের পাশে সরকারি খাল দখল করে রাতের আধারে প্রায় ১৫-২০ টি পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছিলো আড়তপট্টির বেশ কয়েকজন আড়ৎদার খালের অর্ধেক দখল করে আরসিসি পিলার দিয়ে পাকা স্থাপনা গড়েছিল। দখল করে নিয়েছিল খালের অর্ধেক জমি খাল ভরাট হওয়ার কারণে কুয়াকাটা পৌরসভার পানি না নামতে পারে ফসলি জমি সহ তলিয়ে থাকে।
নাম না বলা কিছু স্থানীয়রা বলেন, আমাদের গ্রাম মহল্লা বৃষ্টির পানি গুলো আগে এই খালে নাম তো, এবং কুয়াকাটা সকল গ্রাম মহল্লা ছোট ছোট নালা দিয়ে বর্ষার পানি এই খানে চলে আসেতো, কিন্তু অবৈধভাবে খাল দখল করে খালের পরিধি ছোট হওয়ায় এখন সমস্যায় পড়তে হয়েছে আমাদের। এক কৃষক বলেন, এবার বর্ষা আমার ফসলি জমি থেকে খালের দিকে পানি নামানোর চেষ্টা করি, কিন্তু উল্টো খালের পানিতে আমার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে, পরে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারি খাল দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘরে তুলছে, তাই পানি না নামতে পেরেক ভাসতে হচ্ছে আমার ফসলি জমি।
এমন সমস্যা খবর পেয়ে সোমবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডলের নেতৃত্বে ওই অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, উপজেলায় অবৈধ স্থাপনা গুলো পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হচ্ছে, সরকারি খালের স্রোত কোনোভাবেই বাঁধাগ্রস্থ করা যাবে না। এখানে আজকে ১৫-২০ টি স্থাপনা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আর অবৈধ স্থাপনার উপর আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এমন আশ্বাস পেয়ে এবং খাল দখলমুক্ত হওয়ায় আনন্দের হাসি দেখা গিছে কৃষকদের মুখে এবং দেখা গিয়েছে খালের পানির স্রোত সমুদ্রের দিকে নামতে শুরু করেছে।