কুষ্টিয়ায় মাদ্রাসা সুপারের পানির বোতলের আঘাতে আহত ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি

অপরাধ

বিশেষ প্রতিনিধি :
শরীরে জ্বর নিয়ে ছুটি চাওয়ার অপরাধে কুষ্টিয়ায় এক মাদ্রাসার পরিচালক পানির বোতলের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পর পলাতক রয়েছে। তাকে মোবাইলেও পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে আহত ছাত্রীকে নিয়ে চরম দু:চিন্তায় পড়েছে তার পরিবার।

কুষ্টিয়ার পুরাতন কাটাইখানা মোড়ের জান্নাতুল মাওয়া আবাসিক মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসায় গত শনিবার এই ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রীর নাম খাদেজা উল কুবরা (১০)। সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া দরগাপাড়ার আবু বক্করের মেয়ে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাদ্রাসা ছাত্রী কুবরা ও তার বাবা আবু বক্কর জানান, শনিবার ১৪ মার্চ শরীরে জ্বর নিয়ে মাদ্রাসার ক্লাসে যায় ৬ শ্রেণীর ছাত্রী খাদেজা উল কুবরা। তার জ্বর বেড়ে অস্বস্তি লাগায় সে মাদ্রাসার অফিসে গিয়ে পরিচালক হাসানুর জামান হাসানের কাছে ছুটি চাই। কোন প্রকার ছুটি হবে না জানিয়ে দেন তিনি পরে আবার ছুটি চাওয়ার অপরাধে ক্ষিপ্ত হয়ে অফিসে রাখা পানি ভর্তি বোতলে বক্স তুলে ওই ছাত্রীর মাথায় আঘাত করে পরিচালক হাসানুজামান। এতে ওই ছাত্রী চিৎকার করে মেঝেতে পড়ে যায়। পরে অন্যান্য ছাত্রীরা এসে মাথায় পানি দিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক করেন। কিন্তু এ বিষয় ওই ছাত্রীর পরিবারকে না জানিয়ে পরের দিন (১৫ মার্চ) অন্যান্য ছাত্রীদেরসহ জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে নিয়ে ঝিনাইদহ পিকনিকে। সেখানে গিয়ে ওই ছাত্রী কুবরা আসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারয়ে ফেলে। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝিনাইদহ হাসপাতালে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মাদ্রাসার শিক্ষকরা সংবাদ দেন ছাত্রী কুবরা বাড়িতে। সংবাদ পেয়ে কুবরার পরিবারের লোকজন ঝিনাইদহ হাসপাতালে পৌছে সেখান থেকে নিয়ে এসে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ওই ছাত্রী হাসপাতালের ৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কুবরাকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে মোবাইল বন্ধ করে পলাতক রয়েছেন ওই মাদ্রাসা পরিচালক হাসানুজ্জামান হাসান। তাকে ওই মাদ্রাসাতে গিয়েও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসা পরিচালক হাসানুজ্জামান হাসানের শাস্তি দাবি করেছেন আহত ছাত্রীর পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.