সুমাইয়া আক্তার শিখা :
কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার শিশু জান্নাতুল হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম
(১২আগষ্ট) বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সম্পর্কে জানানো হয়।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন,গত ১১আগস্ট রাত অানুমানিক ০৯.৫০ মিনিটে ৯৯৯ থেকে মিরপুর থানায় একটি ফোনে কল আসে। সেই ফোনের ম্যাসেজটা ছিল মিরপুর থানার মশান বাজারস্থ শাহাপাড়া গ্রামে ৫/৭ বছরের একটি বাচ্চা মারা গিয়াছে। মিরপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক মশান বাজার সংলগ্ন শাহাপাড়া গ্রামের আনিরুলের বাড়ীর দক্ষিন প্বার্শে ক্যানেলের পাড়ে পৌছাইয়া ০৬ বছরের বাচ্চা মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ লাশের পরিচয় সনাক্ত করে যে,মেয়েটির নাম জান্নাতুল খাতুন(০৬) পিতা মোঃ জাহিদুল ইসলাম শাহ,
সাং-শাহাপাড়া। পুলিশ তাৎক্ষণিক সন্দেহভাজন হিসেবে তার আপন ফুফু জোহরা খাতুন (২৫) ও ফুফাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা যায় যে,তার আপন ফুফু জোহরা শিশুটিকে হত্যা করে।
হত্যাকান্ডের কারন সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদের জানা যায় যে,গত আগস্ট রবিবার জোহরা খাতুনের সাথে নিহত জান্নাতুল এর মা আখিঁ বেগমের পারিবারিক বিষয়ে কথা-কাটাকাটি হয়।একপর্যায়ে আখিঁ বেগম তার ননদ জোহরাকে তাঁর বাড়ি থেকে বের করে দেয়।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জোহরা খাতুনের মনে তার ভাই ও ভাবীর প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ১১আগস্ট তারিখে জান্নাতুল জোহরার বাড়িতে খেলা করতে আসে।আনুমানিক ০৫.২০ দিকে জোহরা কৌশলে জান্নাতুলকে তার রান্নাঘরে নিয়ে বটি দিয়ে কুপিয়ে গলা কেটে নৃশংসভাবে শিশুটিকে হত্যা করে। হত্যা করে বাজার করা প্লাষ্টিকের ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে ফেলে আসে। এ সময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত ১টি রক্তমাখা বটি ও ১টি প্লাষ্টিকের বাজার করা ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।