খাগড়াছড়ি গুইমারার বড়পিলাকে বিধবার বিয়ে ছাড়াই সন্তানের জন্ম দুলাভাই উধাও

অপরাধ

মো: আব্দুল আলী,গুইমারা,খাগড়াছড়ি থেকে :
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক এলাকার শাহজাহান মোল্লার সাথে বিয়ে বিহীন শারিরীক সম্পর্কের জেরে গতকাল সন্তান প্রসব করলেন আফসার আলীর মেয়ে ময়না বেগম (৩৫)। অভিযুক্ত শাহজাহান মোল্লা এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না করায় সমাজের কর্তাদের দায়ী করেন ময়না বেগম।

জানা যায়, বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর আগে শাহজাহান মোল্লা তার সাথে অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক করে। বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হলে, ময়না বেগমকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শাহজাহান মোল্লা কৌশলে শালীকা ময়না বেগম কে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। ময়না বেগম পূর্বের স্বামী বাছির মিয়ার ক্রয়কৃত বাড়িতে বসবাস করলে সেখানে গিয়ে আগের মতো অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক করে একাধিক সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটলে শাহজাহান মোল্লা একে একে সব সন্তান নষ্ট করতে ময়না বেগম বাধ্য করে। ১৩ জানুয়ারী রাতে সন্তান প্রসবের কথা শুনে শাহজাহান মোল্লা আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।

এই মর্মান্তিক ঘটনার তদন্ত করতে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে ময়না বেগম অভিযোগ করে বলেন, র্দীঘ ১২ বছর পূর্বে আমার বোনের বাসায় আসলে আমাকে বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে মোল্লা শাহ জাহান একের পর এক শারিরীক সম্পর্ক করে। পরে শাহজাহানের বিরুদ্ধে সমাজে বিচার দিলে সমাজের ব্যক্তিরা থানায় বিচার দিতে বলে। থানার অভিযোগ দিতে গেলে বিচার নেওয়ার জন্য অর্থ দাবি করে যা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়না। এই ঘটনা নিয়ে দুইটি মামলা দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত তার নির্যাতন থেকে বাচঁতে পারিনি। একের পর এক জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করার জন্য আমাকে বাদ্য করে। একপর্যায়ে আমার গর্ভের তার সন্তান আসে। ১৩ জানুয়ারী রাতে একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। এই সন্তানকেও নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন নির্যাতন করতো। এই ছেলের বাবার স্বীকৃত কে নিবে তার সুষ্ঠ বিচার চায় ময়না বেগম।

মোল্লা শাহজাহান কে না পেয়ে তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার স্বামী এবং আমার বোন দুই জনই এখানে অপরাধী। বিগত ১২ বছর আগে আমার ছেলে অসুস্থ হলে তাকে নিয়ে দেশের বাড়ি রাজশাহী যাওয়াকালীন আমার বাবার বাড়ি থেকে আমার মা এবং বোন বাসায় রেখে যাই। সেই সুযোগে আমার স্বামীর সাথে আমার বোনের এক প্রকার প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। যে সম্পর্কের হাত ধরে তারা একে অপরের সাথে অবৈধ শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর, আমার বোনকে মায়ের সাথে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। কিন্তু আবারো আমার স্বামী শাহজাহান তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসে। এবং পূনরায় শারিরীক সম্পর্ক করে যার ফলে গতকাল একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে।

এই বিষয়ে বড়পিলাক ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার ছানা উল্লার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। তবে সমাজের কর্তাদের বিরুদ্ধে ময়না বেগম যে অভিযোগ করেন তা সঠিক নয়। শাহজাহানের বিরুদ্ধে এর আগে অনেকবার বিচার হয়েছে কিন্তু সে অর্থ সম্পদের দাপট দেখিয়ে সমাজের কর্তাদের তোয়াক্কা না করে একের পর এক অপরাধ করেছে। পরে ময়না বেগমকে আমরা আইনের সহযোগিতা নেওয়ার পরার্মশ দেই।

গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ মুহাম্মদ রশীদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.