চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে হয়রানির শিকার হচ্ছে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা

অপরাধ

কামরুল ইসলাম,চট্রগ্রাম থেকে :
লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের এক ভাই জানান বর্তমান সময়ে পাসপোর্ট করতে যদি চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে কেউ যায় তাহলে রাতের ও দিনের খাদ্য সামগ্রী সংগেই নিয়ে যেতে হবে তিনি আরও বলেন এইযে দেখছেন মানুষের দীর্ঘ লাইন ওরা সবাই রেমিট্যান্স যোদ্ধা অথচ এরা কোন রিলিফের জন্য অপেক্ষায় নেই, কোন ধরণের অনুদান পাওয়ার জন্যও নয়, এরা সেই ভোর বেলা থেকে সারাদিন অবদি অসহ্য রোদের গরমে লাইনে দাড়িয়ে আছে শুধু মাত্র তাদের নাগরিক অধিকার পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য, এই পাসপোর্ট বিড়ম্বনার দায় কে নিবে, দেখলাম অনেকের চোখে পানি কারণ তার স্বপ্নের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে পাসপোর্ট বিড়ম্বনায়, আমার দেশের যুবকেরা সাদা মনে রেমিট্যান্স যোদ্ধা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে একটা পাসপোর্ট করতে আসে অতচ তাদের স্বপ্নকে চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থামিয়ে দিচ্ছে, রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে এখানের একটি নিয়মিত স্লোগান হয়ে গেছে sent for re-work, এই re-work সমস্যাটা জাতীয় সমস্যায় পরিনত হয়ে গেছে, কিন্তু এই দপ্তরের কোন মাথা ব্যথা নেই, এরা সবাই কাঁদতেছে কিন্তু পাসপোর্ট অফিসের সৌভাগ্য পুরুষ মানুষের কান্নার আওয়াজ নেই, যদি আওয়াজ থাকত তাহলে এটাও মেডিকেলের ইমার্জেন্সিতে পরিনত হত, এখানে সকাল ৯ঃটা থেকে বসে থাকা অনেকে বলছেন একটা পাসপোর্ট ডেলিভারী নিতে যেই সময় লাগে ততক্ষনে ৪টা বাচ্চা ডেলিভারী করানো যাবে, আবার অনেকে বলছেন মরুভূমির দেশে টাকা ইনকাম করতে যাওয়ার এটাই প্রথম আন-রেজিস্টার ট্রেনিং স্পট পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস চট্টগ্রাম এবং এই বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.