মোহাম্মদ জুবাইর :
চট্টগ্রাম নগরীতে একের পর এক বেড়েই চলেছে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা। বিশেষ করে বাকলিয়া থানা এলাকায় চোর আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। তাদের রাতে ঘুম প্রায় হারাম ।
২৮ আগস্ট (রবিবার) ভোর চারটায় বাকলিয়া থানাধীন ডিসি রোডে আমিনউল্লাহ বাপের বাড়িতে তিনজন চোর মোটরসাইকেল চোর চুরি করতে আসলে এলাকাবাসীর চোর চোর চিৎকার করলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল মান্নান জানান, আমি ভোরে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে উঠলে আমার বাড়ির পাশে গলির মধ্যে অন্ধকারে তিনজন চোর বড় বড় কাছি নিয়ে একটি মোটরসাইকেল ভাঙার চেষ্টা করে। আমি জানালা দিয়ে এটা কে বলে আওয়াজ দিলে চোরেরা চুপ হয়ে যায়। একটু পর আমি একটা লাঠি নিয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ঘুম থেকে উঠে যায় তৎক্ষণাৎ চোররা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ সময় আশেপাশের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরো জানা যায়, নয়ন নামের একজনের মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি বলেন মান্নান ভাইয়ের কারণে আজ আমি আমার মোটরসাইকেল ফিরে পেলাম। আমি আমার বাসার সামনে মোটরসাইকেল পার্কিং করে রেখেছিলাম। ভোর চারটায় আশে পাশের মানুষের চিৎকারে আমার ঘুম ভাঙ্গে, ঘুম ভেঙ্গে দেখি আমার মোটরসাইকেল যেখানে রেখেছিলাম তার থেকে ২০ ফুট দূরে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় মোটরসাইকেলটি পরে থাকে। স্থানীয়দের সহায়তায় মোটরসাইকেলটি আমার বাসার পাশে রাখি এতে আমার প্রায় পাঁচ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনার আরেক ভুক্তভোগী বলেন, আমার নতুন শখের মটরসাইকেলটি চোরেরা ভেঙ্গে কিছু রাখে নাই ভাগ্যের জোরে আমি আমার মোটরসাইকেলটি ফিরে পেয়েছি। এটা আমার প্রায় ১০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এলাকার উঠতি বয়সী মাদক সেবী কিশোর গ্যাং এ কাজ করতে পারে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এ বিষয়ে বাকলিয়া মুঠোফোনে আমাদের প্রতিবেদককে (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, মোটরসাইকেল চুরি চেস্টার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ করলে আমরা অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিব।