চুরি হওয়া বারো লক্ষ টাকা উদ্ধার করে দিলেন শ্যামপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম

অন্যান্য

মোঃ খাইরুজ্জামান সজিব :
রাজধানীর পোস্তগোলায় জে এম আয়রন স্টিল নামে একটি দোকানের টিনের চালা ও অফিসের জানালার গ্রিল কেটে প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা চুরির ঘটনায় নগদ বারো লক্ষ টাকা দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দিলেন শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম। অভিনব কায়দায় চুরির এই ঘটনায় আপন দুই সহোদর কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটার পর দ্রুততার সঙ্গে টাকা উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতার করায় শ্যামপুর মডেল থানা পুলিশসহ পুরো পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পোস্তগোলা লৌহ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
অভিযুক্তরা হলেন, দুই সহোদর দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানার চাঁদ পাড়া গ্রামের মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ রাব্বি হাসান (২৩) ও মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৬)। দুজনেই বর্তমানে পোস্তগোলার (হাফেজ নগর) বাজার গলিতে বসবাস করতেন।
রবিবার (২৬ শে ফেব্রুয়ারি) সকালে পোস্তগোলার ২১৭ করিমুল্লাহবাগের জে এম আয়রন স্টিল নামের একটি লৌহজাত পণ্যের দোকানে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
চুরির অভিযোগে ওই দিন রাতেই অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে শ্যামপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন দোকানটির মালিক মো. জসিম উদ্দিন।
মামলায় জসিম উদ্দিন বলেছেন, ২৫ শে ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে দোকান বন্ধ করে তিনি বাসায় চলে যান। পরের দিন সকালে যথারীতি দোকান খুলে দেখেন তার দোকানের টিনের চালা ও অফিসর জানালার গ্রিল কাটা এবং অফিসের ভিতরে রাখা লোহার সিন্দুক ভাঙ্গা। সিন্দুকে রাখা ১৪ লক্ষ ২৩ হাজার টাকাও নেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, টাকা চুরির এই ঘটনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ওয়ারী বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (শ্যামপুর জোন) মোঃ নুরনবী, শ্যামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ শিহাব উদ্দিন (তদন্ত) ঘটনাস্থলের আশেপাশের প্রায় প্রতিটি সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে। পুঙ্খানু পুঙ্খানু ভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার সহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। এতে ঘটনায় জড়িত আসামী চিহ্নিত করে সংঘবদ্ধ চুরি ও ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য কে গ্রেফতার সহ চুরি যাওয়া টাকার মধ্যে নগদ বারো লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। বাকী টাকা উদ্ধার ও অন্যান্য আসামী গ্রেফতার করার লক্ষ্যে পুলিশী অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.