নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য চলাকালে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা বাধা দেয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিৃবতিতে এই প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। বিবৃতি দাতারা হলেন, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ফারুক-ই-আযম বীর প্রতীক, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাহাঙ্গীর কবীর, অ্যাডভোকেট সুলতান আলম মল্লিক, এম এ শহীদ, হাবিবুর রহমান, আবুল বাশার ও অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ২৬শে জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিএনপি’র বিদেশে অবস্থানকারী নেতা-মুখাপেক্ষি নির্দেশ ও দুর্বল নেতৃত্ব সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বক্তব্য রাখার সময় ছাত্রদলের একজন নেতা কয়েকজন সঙ্গীসহ বাধা প্রদান করে। এ সময় তাকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি-ধামকি দেয়। ছাত্রদলের নেতাদের এহেন আচরণ ও একজন রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি প্রদানে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং বিক্ষুদ্ধ।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আমরা উল্লেখ করতে চাই ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি তা আজ দুঃস্বপ্ন। আজকের দুর্বিসহ অবস্থার প্রেক্ষিতে যেখানে জনগণের দাবি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা সেখানে বিএনপি’র এসব নেতার এহেন আচরণে তা বাধাগ্রস্থ হবে।
ওদিকে ওই বিবৃতির বিষয়ে মানবজমিন এর কাছে একটি ব্যাখ্যা পাঠিয়েছেন মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক।
এতে তিনি বলেন, মত-প্রকাশের অধিকারকে আমাদের সম্মান করা উচিত। তবে বিবৃতিতে ‘বিএনপির বিদেশে অবস্থানকারী নেতা-মুখাপেক্ষী নির্দেশ ও দুর্বল নেতৃত্ব’- এই বাক্যের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। বিএনপির নেতৃত্বে আমরা ইতিবাচক ও ঐক্যবদ্ধ আছি।