ঢাকা আশুলিয়ার এসিল্যান্ড অফিসে ঘুষ দুর্নীতির বরপুত্র কানুনগো হাবিবুল্লাহ

অপরাধ

এম শাহীন আলম :
ঢাকা আশুলিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে ঘুষ দুর্নীতির বরপুত্র কানুনগো হাবিবুল্লাহ।
অনুসন্ধানে জানা যায়,বিআরএস নামজারীর আবেদনে এস এ খতিয়ানে পার্টখাস, রেকর্ড ফেল, এলএ দাগ, সরকারী স্বার্থ জড়িত,
জিন্নুনায়িন ইত্যাদি কাজ নিজেদের তৈরী সাদা রেজিষ্টারে টাইফকৃত মিথ্যা তথ্যের অজুহাতে রেকর্ডের নামজারির আবেদন বাতিলের হুমকি দিয়ে দুর্নীতির আশ্রয়ে প্রতি খারিজ আবেদনে ৫০,০০০/= হতে ১,০০,০০০/= টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করে নামজারি আবেদন মঞ্জুর করছেন দূর্নীতি আর ঘুষ বানিজ্যের বরপুত্র কানুনগো হাবিবুল্লাহ । আর ঘুষ না দিলেই বিভিন্ন অজুহাতে নামজারির আবেদনটি বাতিল।

বি আর এস রেকর্ডে কোন জমি টি সরকারী খাস, এল এ দাগ, সরকারি স্বার্থ জড়িত, জিন্নুনায়িন ইত্যাদি সুনির্দ্দিষ্ট ভাবে ডিমারগেশন করা দাগ নাম্বার সহ আশুলিয়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিসে আছে।

এছাড়া আরো জানা যায়, কানুনগো হাবিবুল্লাহর ঘুষের টাকা গ্রহণ করছেন কানুনগো সহকারী মোঃ খোকন ও জাকারিয়া নামে দুই ব্যক্তি, টাকা দিলে কানুনগো পর্যন্ত যেতে হয় না গ্রাহকদের।
তবে কানুনগো হাবিবুল্লাহর কাজ বিভিন্ন আইনের অজুহাতে সেবা গ্রহিতাদের ভয়ভীতি দেখানো বাকি কাজ তার সহকারীদের।
অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় এসিল্যান্ড অফিসের ৩য় তলায় গোপনীয় কক্ষে বহিরাগত লোক দিয়ে সাদা কাগজে টাইপ করে রেজিষ্টার বানিয়ে হাজার হাজার খতিয়ান ও দাগ নাম্বার এর সামনে এলএ দাগ, খাস খতিয়ান, সরকারী স্বার্থ জড়িত, জিন্নুনাইন ইত্যাদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশাল তালিকা তৈরী করে রাখছেন বলে একাধিক অভিযোগও রয়েছে।
জানা যায় এসব রেজিষ্টারের তালিকায় কাহারো কোন দস্তখত কিংবা সীল নেই। কিসের ভিত্তিতে কার নির্দেশে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল তাহার সদুত্তর পাওয়া যায়নি ।

সরেজমিনে সেবা গ্রহিতাদের মুখে মুখে একেই কথা যতই অনলাইনের কথা বলুক না কেন ঘুষ না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে গ্রাহকদের হয়রানি করা হয় চরমে। আর সরকারি ফি ছাড়াও অফিস খরচের নামে বারতি টাকা দিলেই কোন অজুহাত ছাড়াই সহজে নামজারি দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের।

জানা যায়, এই অফিসটিতে প্রায় হাজার হাজার নামজারির আবেদন পড়ে থাকলেও ঘুষ বানিজ্যের কারনে ধীর গতিতে চলছে অফিসটির নিয়মিত কার্যক্রম।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে শাহ আলম নামে এক ভুক্তভোগী জানান,আমি সরকারিভাবে গোহালবাড়ী মৌজায় সরকারি এক খতিয়ানের ৭৫ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত নিয়ে বিপাকে সংখ্যালঘু অসহায় দরিদ্র পরিবার, সকল কাজ সম্পন্ন দাগ নং ভুল হওয়ায় দাগ সংশোধন করে দেওয়ার নামে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কানুনগো হাবিবুল্লাহ,।
বর্তমানে উক্ত কাগজ সংশোধিত কাগজ একটি ছায়ানোতি তৈরি করে ঢাকা জেলা বরাবর পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু কানুনগে হাবিবুল্লাহ ডিসি মহোদয়ের আদেশকে অমান্য করে বিভিন্ন আইনি জটিলতা দেখিয়ে দাবি করছেন আরও মোটা অংকের টাকা। যাতে জমিটি না পাওয়া যায় সে জন্য করছেন বিভিন্ন তালবাহানা। এতে হতাশ অসহায় পরিবারটি।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুর রহমানকে অবগত করার জন্য তার মুঠো ফোনে কল দিলেও তার মোবাইল সংযোগটি পাওয়া যায়নি।

শাহাআলমের মতো আরো বহু ভোক্তভোগী এই ভুমি অফিসে এসে হয়রানির শিকারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে আরো বিস্তারিত পরের সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.