দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিককে নির্যাতন ও হেনস্তার অভিযোগ

অপরাধ

বিশেষ প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ১৩ নং কর্মধা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড টাট্রি উলি, পুর্ব টাট্রি উলি (জুগিটিলা) এবং দক্ষিণ টাট্রি উলি নামে পরিচিত।
এই এলাকায় আউলা হারুন এবং তার তথাকথিত সঙ্গীয় দের দ্বারা মাঝেমধ্যে একটা সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।
ওদের কাজ হলো জোর করে পাহাড়ের জায়গা দখল। পাহাড়ের খাসিয়াদের সাথে একাধিক বার জায়গজমি দখল নিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে এক জনের জায়গা অন্যজনের কাছে বিক্রি করাও তাদের একটা নিত্যকার ঘটনা।
ওরা ওদের উদ্দেশ্য সফল হওয়ার পরে নিজেরা সিন্ডিকেট থেকে আলাদা আলাদা চলাফেরা করে যাহা, এলাকার মানুষ জন খুব ভালো করে জানেন, এবং বুঝেন।
বিগত, ৯ বছর পুর্বে এই আউলা হারুন একই গ্রামের মিসির আলীর ছেলে প্রবাসী আব্দুল মুহিতের কাছে তিন পোয়া জমি তিন লক্ষ আশি হাজার টাকা মূল্যে বিক্রয় করেন।
যাহা কিছুদিন পরে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা ছিলো। তথাপি,প্রবাসী আব্দুল মুহিত কিছুদিন পর্বে দেশে এসে ও-ই জায়গা রেজিস্ট্রি করতে চাইলে জানতে পারেন যে আউলা হারুন অন্য একজনের জায়গা নিজের বলে, আব্দুল মুহিতের কাছে বিক্রি করে দিতে চান।
পরে আব্দুল মুহিত স্থানীয়, মেম্বার সহ গণ্যমান্য মানুষের সহযোগিতা চাইলে,এলাকার গণ্যমান্য লোকজন প্রতারক হারন কে আব্দুল মুহিতের টাকার জন্য চাপ দিলে ওই প্রতারক আউলা হারুন প্রবাসী আব্দুল মুহিতের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেয়।
উল্লেখ্য যে ও-ই প্রতারক আউলা হারুন এলাকার পাঞ্চায়েতের কাছে ৫০ হাজার টাকা জমাও করে, বাকি টাকাও কিছু দিনের মধ্যে পাঞ্চায়েতের কাছে জমা করার কথা বলে।
কিন্তু আজ ৯ বছর পার হয়ে গেলেও আব্দুল মুহিতের টাকার কোনও খোঁজ খবর নাই।
প্রতারক হারুন আউলার কাছে টাকা চাইলে উল্টো আব্দুল মুহিতের ভাইদের কে হুমকি ধামকি দিয়ে রাখেন ও-ই প্রতারক হারুন।
প্রতারক, ধান্দাবাজ হারুনের নামে এলাকায় বেশ কিছু গুন্ডামীর এবং জোরজবরদস্তির অভিযোগ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ২৯/০৩/২৪ ইংরেজি তারিখে সাংবাদিক সেলিম আহমেদ উক্ত সংবাদ গুলো সংগ্রহ করার জন্য ঢাকা থেকে গ্রামের উদ্দেশ্যে যান। এবং সংবাদ সংগ্রহ করে মেম্বার সাহেবের বক্তব্য নিয়ে বর্তমান মেম্বার আব্দুল কাদির সাহেবের বাড়িতে আরও সাংবাদিকদের সাথে একত্রে ইফতার সেরে চা-খাওয়ার জন্য স্থানীয় জুগিটিল্লা বাজারে আব্দুর রকিবের চা-দোকানের সামনে গেলে ওখান থেকে ও-ই দুর্নীতিবাজ ও ভুমিদস্যু প্রতারক আউলা হারুন এবং তার ভাই আমিরুল মুমিন সাংবাদিক সেলিম আহমেদ কে টেনেহিঁচড়ে চা দোকানের ভেতরে নিয়ে নির্যাতন এবং লাঞ্চিত করে।
পরে, স্থানীয় লোকজন সাংবাদিক সেলিম আহমেদ কে ও-ই দুই গুন্ডা ভাইয়ের কবল থেকে মুক্ত করেন।
পরবর্তীতে, সাংবাদিক সেলিম আহমেদ কুলাউড়া উপজেলা সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ করে কুলাউড়া থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.