দেশরত্ন শেখ হাসিনা বন্ধু নির্মলেন্দু গুনকে একটি মূল্যবোধের চিঠি আজ ছড়িয়ে দিলেন কুমিল্লা ৫ আসনের নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী এহতেশাম রুমি

অপরাধ

মামুন মজুমদার :
কুমিল্লা ৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া)
আসনের সংসদ উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী
বাংলাদেশ যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি’র পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা আজ
বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়নের ১২৭ টি মসজিদে
জুম্মার নামাজে দেশরত্ন শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে দোয়া এবং সাবেক আইনমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু’র রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং নামাজ শেষে বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র একটি মূল্যবোধের চিঠি আর জীবনের অভিমুখ লিফলেট বিতরণ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুন এর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সহপাঠী ছিলেন।১৯৮৮ সালে কবি নির্মলেন্দু গুণ জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে কাজ করতেন।ঐবছর দেশজুড়ে বন্যাজনিত দূর্যোগ চলছিলো।এইসময়ে তাঁকে লেখা শেখ হাসিনার একটি অসাধারন চিঠি আজ হুবহু জনসম্মুখে কুমিল্লা ৫ আসনের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী জননেতা এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি লিফলেটের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
এ লিফলেটে উল্লেখ করা হয়েছে-

” বন্ধু বরেষু গুণ,
আপনার অনুরোধে কিছু চবি পাঠালাম।তবে আমার একটা অনুরোধ রাখবেন।’ত্রাণ বিতরণ করছি’এ ধরনের কোনো ছবি ছাপাবেন না।মানুষের দুর্দশার ছবি যত পারেন ছাপান।আমার ধারণা এ ধরনের অর্থাৎ বিতরণের ছবি টেলিভিশন ও খবরের কাগজে দেখে দেখে মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেছে।

ওরা গরিব, কিন্তু সেটা কি ওদের অপরাধ? একশ্রেণী যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ আহরণ না করত তাহলে এরা কি গরিব হতো? কার ধন কাকে বিলাচ্ছে? যা কিছু আছে সকলে মিলে ভাগ করে ভোগ করলে একের কাছে অপরের হাত পাতার প্রয়োজন হতো না। ওদেরই সম্পদ লুট করে সম্পদশালী হয়ে আবার ওদেরই
দুর্দশার সুযোগ নিয়ে সাহায্যদানের নামে হাতে তুলে দিয়ে ছবি ছাপিয়ে ব্যক্তিগত ইমেজ অথবা প্রতিষ্ঠা লাভের প্রয়াস আমি মানসিকভাবে কিছুই মেনে নিতে পারিনা। আমার বিবেকে বাধে। তবুও অনেক সময় পারিপার্শ্বিক চাপে পড়ে অনেক কিছুই করতে হয়। আমিও করি।

বিবেকের টুঁটি চেপে ধরে অনেক সময় সমাজ রক্ষার তাগিদে, সঙ্গীদের অনুরোধে বা অপরের মন রক্ষার জন্য এ ধরনের কাজ বা ছবি তুলতে হয় বৈকি। তবে যে যাই দান করুক না কেন, বিলি করুক না কেন, এটাতো ওই গরিব মানুষগুলোর অধিকার, তাদেরই প্রাপ্য। ক্ষমতার দাপটে কেড়ে নেওয়া ওদেরই সম্পদ অথবা ওদেরই পেটের ক্ষুধা দেখিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে ভিক্ষে এনে এদের দান করা। এখানে ‘ক্রেডিট’ নেওয়ার সুযোগ কোথায়? এই ক্রেডিট নিতে যাওয়াটা কি দুর্বলতা নয়?আত্মপ্রবঞ্চনা নয়? কতকাল আর বিবেককে ফাঁকি দিবে? এই গরীব মানুষ গুলোর মুখের গ্রাস কেড়ে খেয়ে আবার এদেরই হাতে ভিক্ষে তুলি দিয়ে ছবি ছাপিয়ে ইমেজ তৈরীর পদ্ধতি আমি পছন্দ করি না । আমি মনে করি, যা দান করব নীরবে করব, গোপনে করব। কারণ এটা লজ্জার ব্যাপার, গর্ব করার ব্যাপার মোটেই নয়। গর্ব করার মতো কাজ হতো যদি এই সমাজটাকে ভেঙ্গে নতুন সমাজ গড়া যেত। গর্ব করার মতো হতো যদি এক খানা কাঙ্গালের হাতও সাহায্যের জন্য বাড়িয়ে না দিত। ফুটপাতে কঙ্কালসার দেহ নিয়ে ভিক্ষের হাত না বাড়াতে সেটাই গর্ব করার মতো হতো। যে স্বপ্ন আমার বাবা দেখেছিলেন, সেদিন কবে আসবে? আমার অনুরোধ আপনার কাছে, সেই ছবি ছাপাবেন না যে ছবি হাত বাড়িয়েছে সাহায্য চেয়ে,আর সেই হাতে কিছু তুলে দিচ্ছি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে। অনেকেই বলে থাকেন। আমার বড় অপরাধী মনে হয় নিজেকে। লজ্জা হয় গরিব মানুষদের কাছে মুখ দেখাতে। আমরা সমাজে বাস করি। দুবেলা পেটপুরে খেতে পারি। ভালোভাবে বাঁচতে পারি। কিন্তু ওরা কি পাচ্ছে? ওদের নিয়ে এধরনের উপহাস করা কেন? ওরা বরদাশত করবে না, একদিন জেগে উঠবেই সেদিন কেউ রেহাই পাবে না। আমার অনুরোধ আশাকরি রাখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.