বিশেষ রিপোর্টার :
সারা দেশে জেলা উপজেলা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামে কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই ডিস ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি অসাধু চক্র। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। দেশে প্রায় ০৬ কোটি ক্যাবল সংযোগ গ্রাহক রয়েছে গড়ে মাসে ২০০ টাকা সংযোগ পতিহার ধরা হলে মাসে এই খাতে ১২,০০ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে, বছরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানের কাঠামো গড়ে না ওঠায় এই খাতে বিপুল পরিমাণ টাকা অবৈধ থেকে যাচ্ছে। সরকারের রাজস্ব খাতেও যোগ হচ্ছে না প্রত্যাশিত রাজস্ব। অবৈধ অর্থের উৎস হওয়ায় খাতটিতে চলছে চরম নৈরাজ্য, ও পেশীবাজদের দৌরাত্ম্য দেশব্যাপী ৪০ হাজারের অধিক অপারেটর থাকলেও লাইসেন্স বিহীন ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে অধিকাংশ অপারেটর। কঠোর নজরদারি ও আইনের সঠিক বাস্তবায়ন থাকলে এই খাতটি আরো বিস্তৃত যেমন হতো তেমনি সরকারি কোষাগারে জমা পড়তো বিপুল পরিমাণ অর্থ। এই খাতে শৃঙ্খলা আনতে সরকারকে ক্যাবল টিভি আইন ২০০৬ প্রণয়ন করে। এই আইনে বলা হয়েছে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না। আইনটিতে এমএসও (মাল্টি সার্ভিস অপারেটর)
সিও (কেবল অপারেটর) এবং এফও (ফিট অপারেটর) এই তিন ধরনের লাইসেন্স প্রদানের উল্লেখ থাকলেও দেয়া হচ্ছে সিও এবং এফও লাইসেন্স। আইনে এমএসওর কথা উল্লেখ থাকলেও এই লাইসেন্সের কোনো নিয়মনীতি না থাকায় দেশে একটিও এমএসও লাইসেন্স প্রদান করা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেশিরভাগ ক্যাবল অপারেটর ও ফিট অপারেটরই লাইসেন্স না নিয়ে দিব্যি ব্যবসা করে যাচ্ছেন। বিটিভি লাইসেন্স অধিদপ্তর জনবলের অভাবে এ বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না তবে অধিদপ্তর দেশে বৈধ-অবৈধ অপারেটর চিহ্নিত করতে সকল জেলা প্রশাসককে সকল বৈধ-অবৈধ অপারেটরের তালিকা প্রদানের জন্য চিঠি দিয়েছে। তালিকা পেলে অবৈধ অপারেটরদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে। অবৈধ অপারেটররা সরকারকে রাজস্বও দেয় না। সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ে ক্যাবল অপারেটরদের প্রদানকৃত সার্ভিস চার্জের উপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করলেও প্রত্যাশিত স্তরে ভ্যাট আদায় হচ্ছে না। দেশের অর্থনীতিবীদরা মনে করেন সারাদেশের এই অবৈধ ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা আইনের আওতায় নিয়ে আসলে বিপুল পরিমাণে লাভজনক হবে সরকারি অর্থনৈতিক রাজস্ব খাত।