নিউজ ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর মা লিমা বেগমকে (৪০) বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে জবানবন্দির জন্য কোর্টে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমেকে জানিয়েছেন, পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে দুই শিশুকে নাপা সিরাপ খাইয়ে হত্যা করে মা লিমা বেগম।
তার কথিত প্রেমিকের সঙ্গে বিয়েসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এ ঘটনা পুলিশের কাছে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন লিমা। এদিকে দুটি শিশুকে নাপা সিরাপ খাইয়ে হত্যার ঘটনায় দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে।
গত ১৩ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ‘নাপা সিরাপ’ সেবন করে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দেশের সব পাইকারি ও খুচরা ফার্মেসি পরিদর্শন করে ওই ওষুধ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে পরীক্ষার প্রতিবেদন ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর জন্যও বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১২ মার্চ দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে জানা যায় যে, দেশের অন্যতম প্রধান ফার্মাসিউটিক্যালস-এর উৎপাদিত নাপা সিরাপ (প্যারাসিটামল ১২০মিগ্রা./৫ মি.লি.) ব্যাচ নং- ৩২১১৩১২১, উৎপাদন তারিখ: ১২/২০২১, মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ: ১১/২০২৩ নামীয় ওষুধটি সেবন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে একই পরিবারের ২ শিশু মৃত্যুবরণ করেছে। এমতাবস্থায় ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাকে স্ব-স্ব নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত পাইকারি ও খুচরা ফার্মেসি পরিদর্শন করে ওই পদের নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।
পরবর্তীতে নাপা সিরাপ পরীক্ষা করে তার মধ্যে কোনো ক্ষতিকর উপাদান পায়নি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।