মোঃ ইমরুল আহসান :
নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের কলোড়া গ্রামের মৃত মাফিজুর রহমানের মেয়ে মুন্নী খানমের মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। ১ লা এপ্রিল (সোমবার) মধ্য রাতে যে কোন সময় তার মৃত্যু হয়। ওই রাতে মুন্নীর পরিবারের কোন লোকজন বাড়ীতে ছিলনা। পরদিন সকালে মুন্নীর মা বাড়ীতে এসে শয়ন কক্ষের খাটে বসা অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগানো মৃত মুন্নীকে দেখতে পান। পরবর্তীতে বিছালী ফাড়ির পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। মৃত মুন্নী খানম স্বামী পরিত্যক্তা এবং দশ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তার।
স্থানীয় ও স্বজন সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি ইউনিয়নের সুমেরুখোলা গ্রামের মিনারুল হকের ছেলে মোঃ আশরাফুলের সাথে মুন্নীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। সেই সুবাদে আশরাফুল প্রায়ই মুন্নীদের বাড়ীতে যাতায়াত করত।
বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে মুন্নীর পরিবারকে ফোন দিয়ে মুন্নীকে খুন করবে বলে হুমকিও দিত আশরাফুল।
ঘটনার দুইদিন আগে সন্ধায় আশরাফুল মুন্নীকে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে তার ব্যবহৃত স্যাম্ফনি জেড ৪২ মডেলের স্মার্ট ফোনটি কেড়ে নেয় এবং সেই রাতেই মুন্নীর বাড়িতে এসে ফোনটি ফেরত দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় প্রেমিক আশরাফুল।
ঘটনার রাতে মুন্নী বাড়ীতে একা ছিল। নিহত মুন্নীর শয়ন কক্ষে কয়েক প্যাকেট সিগারেটের খাপ, পুরুষের পরনের ১ টি জাঙ্গিয়া পাওয়া যায় এবং তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় বলে জানান স্বজনরা। মুন্নীর পরিবারের ধারনা তাকে আশরাফুল হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিসন্ধি করেছে। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকারীর বিচার দাবি করেছেন তারা।
এদিকে অভিযুক্ত প্রেমিক আশরাফুলের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
নড়াইল সদর থানার ওসি তদন্ত জামিল হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।