পিয়াসার বিএমডব্লিউ গাড়ির মালিকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একের পর এক অভিযানে মডেল-অভেনেত্রীসহ শোবিজ অঙ্গনের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের পৃষ্ঠপোষক ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। গুঞ্জন চলছে তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার বিলাসবহুল গাড়িগুলোর মালিকানা নিয়েও। এসব গাড়ির প্রকৃত মালিক কারা এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযানে কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বাসা থেকে বিলাসবহুল দুটি গাড়ি (সিলভার রঙের এস ২০৯ মডেলের বিএমডব্লিউ এবং মাজদা এক্সেলা ব্র্যান্ডের নীল রঙের একটি গাড়ি) জব্দ করা হলেও একটির মালিক হিসেবে তাকে চিহ্নিত করা গেলেও অন্য গাড়িটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

তারা জানতে পেরেছেন, পিয়াসা বিলাসবহুল এ গাড়ি দুটি নিয়মিত ব্যবহার করতেন। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেছেন তিনি। এ দুটি গাড়ির মধ্যে মাজদা এক্সেলা ব্র্যান্ডের নীল রঙের গাড়িটির (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৪-৫০০৯) মালিক পিয়াসা নিজেই। তবে অন্যটি তার নয়। ফলে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে পিয়াসার বিএমডব্লিউ গাড়ির মালিক কে?

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বরাতে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, মাজদা এক্সেলা ব্র্যান্ডের নীল রঙের গাড়িটির মালিক পিয়াসা নিজেই। তার নামেই গাড়িটির নিবন্ধন। বিআরটিএ থেকে এ নম্বরপ্লেট ইস্যু করা হয় ২০১৮ সালের ১৭ মে। গাড়িটির মালিকের নামের জায়গায় লেখা ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। ১৫০০ সিসির গাড়িটির নিবন্ধন ফরমে পিতা/স্বামীর ঘরে লেখা মাহবুব আলম। ২০১৩ সালে তৈরি গাড়িটির ধরনের স্থানে লেখা কার (স্যালুন)। তবে পিয়াসার কাছ থেকে বিএমডব্লিউ এস ২০৯ মডেলের সিলভার রঙের যে গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৯-৮৫৭৪) জব্দ করা হয়, তার মালিক নন তিনি। গাড়িটির মালিকের জায়গায় ‘দি রিলায়েবল বিল্ডার্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। বিআরটিএ থেকে এ গাড়ির নম্বরপ্লেট ইস্যু করা হয় ২০১৫ সালের ১২ জুলাই। ১৯৯৫ সিসির এ গাড়ির কাগজে ভেহিক্যাল টাইপের জায়গায় লেখা কার (স্যালুন) আর ভেহিক্যাল ক্লাসের জায়গায় লেখা মোটর কার (লার্জ)।

পিয়াসার ব্যবহৃত বিএমডব্লিউ এস ২০৯ মডেলের সিলভার রঙের গাড়িটির নিবন্ধিত মালিক দি রিলায়েবল বিল্ডার্সের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান দি রিলায়েবল বিল্ডার্স। এর মালিক শফিকুল আলম মিথুন। দি রিলায়েবল বিল্ডার্সের মতো আরও তিনটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আছে ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের। এগুলো হচ্ছে রিলায়েবল মেশিনারিজ, কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেড ও লিরিক গ্রুপ।

পিয়াসার গাড়িগুলোর বিষয়ে সিআইডির জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে জব্দকৃত গাড়িগুলো প্রকৃত মালিক কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.