এম শাহীন আলম :
৭০/৮০ দশকে পুলিশ কনেস্টেবল হিসেবে চাকুরী নেওয়া ময়মনসিংহের মাহতাব উল্ল্যাহও ঢাকা সাভারের আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ৪ বাড়ি সহ বহু সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সরেজমিনে দেখা যায়। এছাড়াও তিনি নিজের ছেলেকে দিয়েছেন পুলিশে চাকুরী। মাহতাব এর শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকায় সেই ৭০/৮০ দশকে চাকুরী নেওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্তও তিনি পুলিশ কনেস্টেবল হিসেবেই কখনো বলেন কিশোরগঞ্জে চাকুরীরত অবস্হায় আছেন আবার কখনো বলেন, তিনি গত দুই বছর আগে চাকুরি থেকে অবসরে গিয়ছেন বলে জানা যায়। তার ছেলে বর্তমানে আছেন ঢাকা বনানীতে পুলিশ এন্টি টেররিজম ইউনিটে কর্মরত।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, পুলিশ কনেস্টেবল মাহতাব তার জন্মস্হান কখনো ময়মনসিংহ আবার কখনো টাঙ্গাইল জেলা বলে পরিচয় দেন। তিনি সামান্য পুলিশ কনেস্টেবল পদের চাকুরীর সুবাদে আশুলিয়ার মতো এলাকায় গড়েছেন চার চারটি বাড়ি, মুরগির ফার্মসহ গবাদি পশুর খামার। কিনেছেন আরো একাধিক জমি। যা রীতিমত অবৈধ পথে ইনকাম ছাড়া একজন পুলিশ কনেস্টেবল তার চাকুরির বেতন দিয়ে পরিবারের ভরণপোষন দিয়ে কখনোই সম্ভব নয়।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায় মাহতাব সাংবাদিকদের লেখালেখি সহ আশপাশের লোকজনের সমালোচনার মুখে তিনি দুটি টিন সেড বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞপ্তিও লাগিয়ে রেখেছেন।
এরেই মধ্যে তিনি মানুষের কাছে বলে বেড়াচ্ছেন এই সকল বাড়ি নাকি তার ইতালি প্রবাসী শ্যালকের সহায়তায় কিনেছেন। প্রশ্ন তিনি যদি তার শ্যালক এর টাকায় কিনে থাকেন তাহলে বাড়িগুলোর দলিল তার এবং স্ত্রী সন্তানদের নামে করলেন কিভাবে।
অনুসন্ধানে সরেজমিনে আরো জানা যায় পুলিশ কনেস্টেবল মাহতাব উল্ল্যাহ আশুলিয়ার ভাদাইল উত্তরপাড়া এলাকায় বিশাল জায়গা নিয়ে গড়েছেন মোয়াজ্জেম ভিলা নামের একটি বহুতল ভবন যেখানে তিনি মুরগীর ফার্ম সহ গরুর খামার করে তার এক ছেলেকে দিয়ে চালাচ্ছেন। অন্য দিকে ক্লাব এলাকায় গড়েছেন আরো একটি বাড়ি যেখানে তিনি তার পরিবারের সকলকে নিয়ে বসবাস করছেন। এছাড়া তিনি একেই এলাকার স-মিল এর পাশে নোয়াখালীর চা দোকানদার এর দোকানের পিছন দিকে আরো দুটি টিনসেড বাড়ি করছেন। ইদানিং এই দুইটি টিনসেড বাড়ি বিক্রির জন্য তিনি বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞপ্তিও বাড়ির গেইটে লাগিয়ে রেখেছেন।
এছাড়া মাহতাব উল্ল্যাহ তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে বাড়ি সহ একাধিক জমি ক্রয় করেছেন বলে জানা যায়। অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। আরো বিস্তারিত ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে।