জিএম জাহিদ হোসেন টিপু :
রাজনীতিতে কর্মী মূল্যায়ন একটি সর্বজন বিধীত গতানুগতিক
শব্দ ৷ কেন্দ্র থেকে গ্রাম পর্যন্ত কিছু মতলবাজ নেতা সাধারণ কর্মীদের বিভ্রান্ত করতে এ শব্দটি ব্যবহার করে ৷প্রধানমন্ত্রীও
মাঝে মধ্যে নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের জন্য এমপি মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়ে দ্বায় সারেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও মিডিয়াতে এমন শব্দ চয়নে পারদর্শী ৷ কিন্ত মুল্যায়নের প্রকৃয়াটি কেমন হবে তার কোন গাইডলাই নাই ৷ আমার মতে কর্মী মূল্যায়নের ২টি প্রক্রিয়া আছে , একটি নেতা কর্মীদের পদ পদবী দিয়ে মূল্যায়ন করা , আর অন্যটি অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে মূল্যায়ন করা। প্রত্যেক নেতা কর্মীই স্থানী এমপির কাছে দ্বিতীয় প্রক্রিয়া অর্থাৎ অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ার মূল্যায়ন প্রত্যাশা করে কিন্ত এমপি সে কাজটি করতে না পারলে দ্রুত জনপ্রিয়তা হারান। একজন এমপির নির্বাচনী এলাকায় শত শত ত্যাগী নেতা কর্মী থাকে। এ বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীকে মূল্যায়ন করতে স্থানীয় এমপি হিমসিম খান। এটি করতে এমপি মন্ত্রীদের দুর্নীতি করা ছাড়া
উপায় নাই কিন্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তাও করা যাবেনা। দুদক শিয়রে দাঁড়িয়ে। দীর্ঘ মামলা হামলার শিকার হয়ে নেতা কর্মীরা দলকে ক্ষমতায় বসিয়ে এমন প্রত্যাশা করা অমূলক নয়৷সম্প্রতি ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক ব্যাক্তিদের সার্বজনীন একটি পেনশন স্কিম চালুর নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন৷ আমার প্রত্যাশা আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গারাখতে দ্রুত একটি “কর্মী মূল্যায়ন ব্যাংক ” নামের একটি ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করে প্রতি থানায় একটি শাখা স্থাপন করা উচিত। এর কাজ হবে শুধুমাত্র স্থানীয় এমপির সুপারিশে অথবা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশে ত্যাগী নেতা কর্মীদের সহজ শর্তে ঋন
নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী করে তোলা। এত বিপুল সংখ্যক ত্যাগী নেতা কর্মী মূল্যায়নের আর বিকল্প পথ কৈ? প্রতিষ্ঠিত সিডিউল ব্যাংকের পাশাপাশি এমন একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনা ভেবে দেখা উচিত ৷