বগুড়ার কাহালুতে কিবরিয়া পেপার মিলের বর্জ্য পানিতে পরিবেশ দূষণ সহ ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতির অভিযোগ

অপরাধ

বিশেষ প্রতিনিধি :
বগুড়া কাহালু উপজেলার শীতলাই এলাকায় কিবরিয়া পেপার মিলের বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় গত কয়েক বছর ধরে পরিবেশ দূষণ সহ স্হানীয় কৃষকদের শতাধিক বিঘা কৃষি ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ I

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত পেপার মিলটি গত ৪/৫ বছর যাবৎ এলাকার মানুষ সহ পরিবেশ দূষণের তোয়াক্কা না করে মিলটির কর্তৃপক্ষ তার মন খেয়াল খুশি মতো চালিয়ে যাচ্ছে I স্হানীয় লোকদের অভিযোগ মিলটি চালু হওয়ার পর থেকেই মিল এর ব্যবহার কৃত ময়লা দূষিত পানি এলাকার কৃষি জমিতে ছাড়ার কারনে আমরা ফসল করতে পারতেছিনা,কারন হিসেবে তারা গণ মাধ্যমকে বলেন, মিলের ব্যবহার কৃত ময়লা যুক্ত পানি ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি করে এবং ধান চাষ করলে তা নস্ট হয়ে যায় I স্হানীয়রা আরো জানান, কিবরিয়া পেপার মিলের মালিককে এই বর্জ্য পানির বিষয়ে অসংখ্য বার অভিযোগ দিলে তিনি উপস্থিত পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তাৎক্ষণিক এলাকার মানুষদের আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে এই বর্জ্যের সঠিক কোন সুরাহা দিতে পারেননি I
ভোক্তভোগী স্হানীয় এলাকার লোকজন জানান মিলের ব্যবহারকৃত দূষিত পানির বিষয়ে গত দু-বছর যাবৎ বললেই মিল কর্তৃপক্ষ বলে আমরা পানি যাতে বাহিরে ফেলতে না হয়, তার জন্য মিলের ভিতরে ওয়াটার প্লান স্হাপন করেছি ,কিন্তু তাদের ভাষ্য অনুযায়ী গত দুই বছরেও ওয়াটার প্লানের যে ব্যবস্থা করার কথা তা এখন পর্যন্ত করেননি I স্হানীয় লোকজন জানান মিলে মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় তার ইচ্ছা মতো যেন তেন ভাবে পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে মিলটি চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর I

সরেজমিনে অনুসন্ধানে গেলে কিবরিয়া পেপার মিল এর ম্যানেজার নুর হোসেন জানান, আমাদের যেহেতু পানির সমস্যা,তাই সবাইকে ম্যানেছ করেই মিলটি চালাচ্ছি,তিনি জানান, আমাদের ওয়াটার প্লান উদ্বোধন হলে তা সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে,ম্যানেজার নুর হোসেন এর কাছে মিলটির মালিকের ফোন নাম্বার চাইলে তিনি মালিকের ফোন নাম্বার দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন যা বলার আমার কাছে বলেন মালিকের নাম্বার দেওয়া যাবে না I আর তা না হলে প্রতিবেদক কে তিনি বলেন সবাইকে ম্যানেছ করেই আমরা মিল চালাচ্ছি আপনার যা খুশি তাই লিখেন, এতে মিলের কিছুই যায় আসে না , পরবর্তী অনুসন্ধানে ধারাবাহিক ভাবে পরের সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে I

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.