বগুড়ার নন্দীগ্রামে পরকীয়ার টানে গৃহবধূ উধাও

অন্যান্য

মতিন খন্দকার টিটু :
ছয় মাসের প্রেমের পর বিয়ে, পাঁচ বছরের সংসারে চার বছরের শিশু সন্তান ফেলে রেখে পরকীয়ার টানে বগুড়ার নন্দীগ্রামে গৃহবধু উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটি বারবার মায়ের জন্য কান্নাকাটি করছে। পৌর শহরের কচুগাড়ী এলাকার আরিফ হোসেন সুমনের স্ত্রী রিমা খাতুন (২৩) পরকীয়ার টানেই গত ৯ জুন অজানার উদ্দেশ্যে পারি জমিয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। এঘটনায় থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরী করেছে সুমনের ভাই আয়নাল হক।
গৃহবধুর শিশু পুত্র সিয়াম (৪) কেঁদে কেঁদে বলছে, আমার আম্মু আমাকে না বলে চলে গেছে। আমার ঘুম আসেনা, আমি খাব না। আম্মুকে এনে দাও। আম্মু কোথায় গেছে?
পরকীয়ার অভিযোগ করে গৃহবধুর স্বামী সুমন জানায়, পাঁচ বছরপূর্বে সুমনের সাথে ছয় মাস প্রেমের পর উপজেলার ছোট ডেরাহার গ্রামের এলেছার মেয়ে রিমা খাতুনের (২৩) বিয়ে হয়। সংসার জীবনে চার বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল গৃহবধু রিমা খাতুন। গরীব ঘরের মেয়ে হলেও মুখে মেকআপ লাগিয়ে বড় ঘরের মেয়ে পরিচয়ে একাধিক ছেলের সাথে মোবাইলে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ করেন স্বামী সুমন।
এর পেছনে শাশুড়ির কু-পরামর্শ ছিল জানিয়ে সুমন বলেন, আমার শাশুড়ি অর্থলোভী নারী। আমার শাশুড়ি এবং স্ত্রীর পরকীয়া সংক্রান্তে একাধিকবার থানায় অভিযোগ এবং এলাকায় শালিস হয়েছে। তবুও সন্তানের দিকে তাকিয়ে আমি মেনে নিয়েছিলাম। স্ত্রীর ইচ্ছেতে পড়ালেখাও করিয়েছি। আমাকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের মডার্ণ ক্লিনিকে আমার স্ত্রী রিমা খাতুনকে সাধারণ নার্স হিসেবে চাকুরি নিয়ে দেয়। ক্লিনিকে যাওয়ার কথা বলেই জনৈক পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে। সন্তানের কথা একটিবারও ভাবেনি।
সুমনের ভাই আয়নাল হক জানান, গত ১১ জুন থানায় হারানো সংক্রান্ত জিডি করার পর গৃহবধু রিমা খাতুনের মা এলেছা বেগমও বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় এটি পরিকল্পিত ছিল। সুমনের শাশুড়ি সবই জানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.