মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ার গাবতলীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে, গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের গড়ের বাড়ী গ্রামের মৃত রহমত উল্ল্যার পৈত্তিক জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ছেলে ঘরবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হারেজ ও তার ভাই আব্দুল গফুরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় গ্রামে ও থানায় একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও আব্দুল গফুর তা অমান্য করার কারনে জমির বিরোধ নিস্পত্তি হয়না বলে হারেজের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। ওই জমিনিয়ে গত ১ মাস আগে উভয় পক্ষের আইনজীবি নিয়ে থানায় এস আই সুজাউদৌালার মধ্যস্থতায় শালিস বৈঠক হয়। এরপর আবারো আব্দুল গফুর তার ছেলেদের নিয়ে আবু হারেজের জমিতে আইল দেয় ও জমি দখলের চেষ্টা করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্য উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শনিবার ২৫ জানুয়ারী আব্দুল গফুর পুর্ব পরিকল্পনানুযায়ী তার ছেলেদের ও ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে শিক্ষক আবু হারেজের দখলিয় জমিতে চাষ করতে যায়। এতে আবু হারেজ বাধা দিলে পুর্ব পরিকল্পনানুয়ারী লুকিয়ে রাখা রামদা, হাসুয়া, ধারালো দেশিয় অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে আব্দুল গফুর, তার ছেলেরা ও ভাড়াটিয়া লোকজন হারেজের উপড় হামলা করে। হারেজের চিৎকারে তার সন্তান ভাই ভাতিজা এগিয়ে এলে তাদের উপর হামলা করা হয়। হামলাকারীদের রামদার আঘাতে শিক্ষক আবু হারেজের একটি আঙ্গুল দ্বি-খন্ডিতসহ মাথার ও হাটুতে গুরুতর আঘাত ও যখম প্রাপ্ত হয়। এ ছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন মহিদুল ইসলাম, মন্তেজার রহমান, মোস্তাফিজার রহমান, রাশেদ মিয়া, সুমন মিয়া। আহতদেরকে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্য শিক্ষক আবু হারেজ ও মহিদুলের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অপরদিকে আব্দুল গফুর দাবী করেছে তার স্ত্রী রাহেলা, ছেলে কাউছার, সিদ্দিকসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।