মতিন খন্দকার টিটু :
সিএনজি চালিত অটো রিকশা চালক আজগর আলী পিয়াল (২৮) খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। মাদক সেবনের কথা বলে তাকে কবরস্থানে ডেকে নিয়ে যায় তারই দুই বন্ধু। পরে তাকে কবরস্থানেই হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
পিয়াল খুনের সাথে জড়িত তার দুই বন্ধুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ৩১ মার্চ দুপুরে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান এতথ্য নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলো বগুড়া সদরের ছোট কুমিড়া গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে হান্নান (৩২), একই গ্রামের দুলু খানের ছেলে রাশেদ (৪০), ও দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানার নয়াপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে নুরুন্নবী ওরফে মুন্না (২৫)।
আটককৃতদের মধ্যে রাশেদ ও হান্নান স্বীকারোক্তিতে জানান, গত ২১ মার্চ সন্ধ্যার পর মাদক সেবনের কথা বলে তারা পিয়ালকে অটোরিকশাসহ ছোট কুমিড়া গ্রামের পিছনে কবরস্থানে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ৩’জন এক সাথে মাদক সেবন করা কালে পিয়ালের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর তার অটোরিকশা নিয়ে ২’জন পালিয়ে যায়। ওই রাতেই অটোরিকশাটি ঘোড়াঘাটে নিয়ে গিয়ে মুন্নার কাছে রেখে আসে বিক্রি করার জন্য।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ পিয়াল নিখোঁজ হওয়ার পর ২৮ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ছোট কুমিড়া গ্রামের কবরস্থানে একটি পুরাতন কবর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মহিদুল ইসলাম ২৮ মার্চ রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম জানান, রাশেদ ও হান্নানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘোড়াঘাট থেকে মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অটোরিকশাটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি।