মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়া শিবগঞ্জে ভূমি মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতারক সায়েম হোসেন লাপাত্তা। প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ হতে থানায় জিডি করা হয়েছে।
থানার অভিযোগ সূত্র ও ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে যানা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রাজারগাড়ী গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ফাতেমাকে সরকারী চাকুরীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কম্পিউটার অপারেটর পদে এবং নাম প্রকাশ না করা শর্তে আরও ২জনসহ মোট ৩জনকে চাকুরীর মিথ্যা আশা দেখানো হয়। এর মধ্যে ২জনকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে ও ১জনকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চাকুরীর লোভনীয় অফার দেয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহকারী অফিসার পরিচয় দেওয়া প্রতারক সায়েম হোসেন। সেই আলোকে নিজ উপজেলায় পোষ্টিং করে দেওয়ারও প্রলোভন দেওয়া হয়। ভূক্তভোগীর পরিবারের লোকজন চাকুরী নিয়ে দিবে এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতারক সায়েমকে কয়েক দফায় মোট ৪লক্ষ ৮০ হাজার টাকা প্রদান করেন। সর্বশেষ নিয়োগ প্রদান করা হবে এমন কথা বলে ভূক্তভোগী চাকুরীর ৩প্রার্থীকে ঢাকায় ডাকা হয়। ঢাকা কাকরাইলের ইসলামীয়া আবাসিক হোটেল ইন্টারন্যাশনাল এ সকল চাকুরীর প্রার্থীর অভিভাবকরা চাকুরীর সমুদয় টাকা পরিশোধ করে। এর কিছু দিন পর প্রতারক সায়েম হোসেন তার ব্যবহৃত সংধরধস.যড়ংংধরহ@মসধরষ.পড়স ইমেইল থেকে সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারীর জাল স্বাক্ষর যুক্ত নিয়োগ পত্র প্রেরণ করেন। নিয়োগ পত্রের তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীরা ঢাকায় যোগদান করতে গেলে জানতে পারেন নিয়োগ পত্রটি ভূয়া। কোন উপায় না পেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পল্টন মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে খালেকুল ইসলাম। প্রতারণার বিষয়ে খালেকুল ইসলাম বলেন, ফোনে ০১৭১১৩৮৫৪০৯ এই নাম্বারে ততোধিকবার প্রতারক সায়েমের সাথে কথা হয়েছে, সে বলে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক তার পর চাকুরী দেওয়া হবে, কখনো অন্য কথা বলে টালবাহানা করে। ভুক্তভোগী চাকুরীর প্রার্থী ফাতেমা বলেন, আমরা টাকা ফেরত চাইতে গেলে সে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে এবং বলছে টাকা দিবেনা। আমরা এখন নিরুপায়। প্রশাসনের নিকট আমরা প্রতারক সায়েমের বিচার চাই। পল্টন মডেল থানা জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জিডির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, প্রতারককে আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।