মতিন খন্দকার টিটু :
সামাজিক সংক্রমণের কারনে বগুড়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে সংক্রমনের হার। ইতিমধ্যে বগুড়ায় ১৭১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবানু পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশী সামাজিক সংক্রমণের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। সামাজিক সংক্রমণের কারনেই দ্রুত বেড়েই চলেছে বগুড়ায় করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মে বগুড়া শহরের জলেস্বরীতলায় একই পরিবারের ৭ জন করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন। এরা সকলেই সামাজিক ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। একই দিনে ৪ পুলিশ সদস্যসহ একসাথে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরা সকলেই সামাজিক সংক্রমনের শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে বগুড়ায় পুলিশ সদস্যরা বেশী সামাজিক সংক্রমনের শিকার হচ্ছেন। গত ২৩ মে বগুড়া শহরের কালিতলায় সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন্নাহার পুতুলের বাড়ীর ৫ জন সামাজিক ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে বগুড়ার চাষি বাজারে ১১ জন ব্যাক্তি সমাজিক ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের প্রত্যকের বাড়ী স্থানীয় ভাবে লক ডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা, মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানিয়েছেন, ২৪ মে বগুড়ায় আরো ৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরা সবাই বগুড়া সদরের বাসিন্দা। এদের মধ্যে সেউজগাড়ীর এক যুবক। তিনি সম্প্রীতি ঢাকা থেকে বগুড়ায় এসেছেন। অপর একজন মহিলা।তিনি নাটাইপাড়ার বাসিন্দা। তার স্বামী একজন কারারক্ষী। স্বামীর সংস্পর্শে আসায় তিনি করোনায় আক্রান্ত হন।আরেক যুবকের কোন ইতিহাস পাওয়া যায় নি। ২৪ মে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৮৮ জনের করোনা টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে বগুড়ায় ৫৮ জনের মধ্যে ৩ জন করোনায় সনাক্ত হন। বাকী ১২৯ জনের মধ্যে১২ জন জয়পুরহাটের ব্যক্তি বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ২৪ ঘন্টায় বগুড়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ৫১ জনকে। এদিকে জেলায় ৬৬৭ জন কে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া সদরে ৬৪ জন, সারিয়াকান্দিতে ৯১ জন, সোনাতলায় ৭০ জন, শিবগঞ্জে ১৩৪ জন, আদমদীঘিতে ৪২ জন, দুপচাচিয়ায় ৪৪ জন, কাহালুতে ৫৪ জন, নন্দীগ্রামে ৬১ জন, গাবতলী তে ২৫ জন, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১২ জন, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৫৫ জন কে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা, শফিক আমিন কাজল জানিয়েছেন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২২ জন, এদের মধ্যে ১৮ জন করোনার রোগী। বাকী ৪ জন করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অন্যান্য রোগীরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে তিনি জানান।