বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের বানদিঘীতে পূর্ব শত্রুতায় আকমল হোসেন (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। সরে জমিনে গিয়ে জানা যায় প্রায় সাড়ে চার বছর আগে বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের বানদিঘী পূর্বপাড়ায় ওয়াহেদ আলী নামে এক ব্যক্তি পূর্ব শশত্রুতার অংশ হিসেবে উভয়পক্ষের সঙ্গে সংর্ঘষে মৃত্যু বরণ করেন। এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আকমল হোসেন ৪নং আসামী ছিলেন। মামলার পর থেকেই আকমল হোসেন শহরের পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পাশে নিজস্ব বাড়িতে মোদি দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। আকমল হোসেনের স্ত্রী মোছা: রিমা বেগমের দাবি গত বৃহস্পতিবার উক্ত মামলায় হাজিরার দিন ছিল। পূর্ব থেকেই হাজিরার দিন তারা বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসতো। হাজিরা দিয়ে আকমল হোসেন বাড়িতে প্রবেশ করে খাওয়া দাওয়া করে প্রতিদিনের ন্যায় দোকানে ছিল। এসময় কে বা কারা আকমল হোসেনকে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে নন্দীগ্রাম উপজেলার কড়ইহাটে দুর্বৃত্তরা তাকে মারপিট করে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাকে এ অবস্থায় দেখে একটি ভ্যানযোগে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে পাঠালে পথেই আকমলের মৃত্যু হয়। তবে এঘটনায় গতকালই নন্দীগ্রাম থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। যার নং- ৭০৪, তারিখ ১৭-০৯-২০২০ইং। আকমলের পরিবারের দাবি পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে তার প্রতিবেশি ওয়াহেদ আলীকে হত্যার অভিযোগ ছিল। ঐ হত্যা মামলায় আকমল হোসেন ৪নং আসামী ছিলেন বলে তার স্ত্রী ও পরিবারের দাবি। ঐ শত্রুতার জের ধরেই ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আকমলের পরিবার দাবি করছেন। এঘটনায় সামাদের পুত্র সোহাগ, কাজেমের পুত্র সামাদ আলী, ওয়াহেদ আলীর পুত্র আরিফ ও বাবু, মকলেছুরের পুত্র হিরু, বাবলু শাহ’র পুত্র সবুজ, আলীম উদ্দিনের পুত্র এখলাছসহ অজ্ঞাতরা জড়িত রয়েছে বলে আকমলের পরিবার দাবি করেছে।