বগুড়া প্রতিনিধি :
বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ের দাবীতে ভাগিনার বাড়িতে এক সন্তানের জননী মামীর অনশন, বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। জানা যায়, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের লালদহ নয়াপাড়া গ্রামের মফিদুল এর স্ত্রী মামী জেসমিন (২২) ও একই গ্রামের সাদ্দাম এর ছেলে ভাগিনা সাব্বির (২৩) এর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মামী ও ভাগিনা বিভিন্ন সময় ভাগিনার পাত্রী দেখার নাম করে বিভিন্ন জায়গাতে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরোকিয়া প্রেমের টানে মামীকে নিয়ে ভাগিনা সাব্বির গত ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তারা ঢাকা গামতলী ভাড়া বাসায় মামী ও ভাগিনা বাসা ভাড়া নেয়। এসময় মামী ও ভাগিনা রাত্রী যাপন করে ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সাব্বির এর পিতা সাদ্দাম তার ছেলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে তাদের সম্পর্ক মেনে নিবে মর্মে জানাই এবং বাড়িতে আসতে বলে। এর প্রেক্ষিতে মামী ও ভাগিনা বাড়ীতে আসলে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাঈদ এর সহায়তায় পৌরসভায় একটি সমঝতা বৈঠক বসে। বৈঠকে মেয়ের বাবা তার মেয়েকে তাদের জিম্মায় নেয় এবং ছেলেকে তার বাবা সাদ্দামের জিম্মায় নেয়। এদিকে মেয়ের স্বামী মফিদুল তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘর সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। পরবর্তীতে মামী জেসমিন কে সাব্বির ০১৭৯৭৮৩৬৪৫৬ নম্বর থেকে মুঠোফোনে বলে, আমি তোমাকে নিয়ে ঘর সংসার বাঁধবো তুমি আমার বাড়ীতে এসো। এর প্রেক্ষিতে মামী জেসমিন ২ অক্টোবর শুক্রবার সাব্বির এর বাড়িতে সন্ধ্যা অনুমান ৬.৩০টা থেকে অনশন শুরু করে। সরেজমিনে গিয়ে জেসমিন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি সাব্বিরকে ছাড়া বাঁচবো না তার সঙ্গে আমার বিয়ে না হলে আমি আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিবো। আমি ঢাকায় যাওয়ার সময় সাব্বিরকে ১ ভরী স্বর্ণালংকার ও নগদ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছি। লালদহ গ্রামের ইলিয়াছ বলেন, মামী জেসমিন এর সাথে ভাগিনা সাব্বিরের বিবাহের প্রস্তুতি চলছে। এব্যাপারে কাউন্সিলর আবু সাঈদ বলেন, এ বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে, তবে মেয়ের পরিবারর মেয়েকে তাদের জিম্মায় চাওয়ায় আমি নিয়ে যেতে বলেছি। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন যে, স্বামী মফিদুল ট্রাক ড্রাইভার হওয়ার কারণে বাড়িতে না থাকার সুযোগে ভাগিনা ও তার মামীর মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইতিপূর্বে একদিন অসামাজিক কার্যকলাপ করার সময় ধরাও খেয়েছিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামী- ভাগিনার বিয়ের প্রস্তুতি চলছে বলে এলাকাবাসী জানায়।