মুহাম্মদ মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ার নন্দীগ্রামে চলতি বোরো মৌসুমের ধান কাটা-মাড়াই কাজ শুরু হয়েছে। তবে পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এই উপজেলার কৃষকদের এখন বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সঠিক সময়ে তারা ধান কাটার শ্রমিক পাবে কিনা। করোনাভাইরাস ও লকডাউনের কারণে অনেক কৃষক এখনও বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। আবার অন্য জেলা থেকে অন্যান্য বছরের ন্যায় ধান কাটার শ্রমিক না আসলে শ্রমিক সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে এ সময় কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। সবমিলে এ উপজেলার কৃষকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলার একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৫শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮শ’ ৩৬ মেট্রিকটণ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠজুড়ে এখন পাকা ধানের সোনালী রঙের ঝিলিক ছটাচ্ছে। যতদূর চোখ যায় শুধু পাকা ধানের সোনালী রঙের চোখ ধাঁধানো দৃশ্য। এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালোভাবে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারলে এবং বাজারমূল্য ভালো থাকলে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন পূরণ হবে। উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের কৃষক মিলন ফকির জানান আমার ৫ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। ৩৬০০ টাকা বিঘা ধান কেটে নিয়েছি। ধানের ফলন বিঘাকে ২৫ মণ হয়েছে। ধান বিক্রি করেছি ১০৫৫ টাকা মণ দরে। হাটকড়ি গ্রামের কৃষক হাবিব মাষ্টার বলেন বোরো ধান কাটা আগামী সপ্তাহে শুরু করতে পারবেন। কিন্তু ধান কাটা শ্রমিকরা করোনা আতঙ্কে রয়েছেন। তাই করোনার কারণে সময় মতো শ্রমিক পাওয়া কঠিন হবে বলে তিনি মনে করেন। শ্রমিক সংকট নিরসন না হলে ক্ষেতের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়তে পারেন চাষিরা।
স্থানীয় ধান কাটার শ্রমিক শ্যামল কুমার জানান অন্য জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিকরা না আসলে এই এলাকার শ্রমিকের পক্ষে সব ধান ঘরেতোলা সম্ভব না। এক বিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াইয়ে ৪ জন শ্রমিক লাগে। আমারা বর্তমানে ৯০০ টাকা দিন পাচ্ছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন নন্দীগ্রাম উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছে। লকডাউনের মধ্যেও ধান কাটার জন্য শ্রমিক এখানে আসতে পারবে। ধান কাটার জন্য কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
![](https://doinikbanglakhobor.net/wp-content/uploads/2021/04/received_3977264845701606.jpeg)