মতিন খন্দকার টিটু :
গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ আগস্ট দুপুরে বগুড়ার কাহালু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন কাহালু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো. হেলাল উদ্দিন কবিরাজ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বৃহস্পতিবার ১২ আগস্ট সকাল ১০ টায় ঢাকার এলজিইডি’র প্রধান কার্যলয় হতে একটি টিম কাহালু পৌরসভার ২০১৯-২০ইং অর্থ বছরের গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করার জন্য আসেন। উক্ত টিমের টিম লিডার ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম আমাকে সাবেক পৌর মেয়র হিসেবে থাকতে বলেন। তার কথামতে আমি গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনের সময় অনাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলাম। কাহালু পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে ঠিকাদার নূরুল ইসলাম বিশুর কাজের অনিয়মের কথা উঠলে বর্তমান বিএনপির মেয়র আলহাজ্ব মো. আব্দুল মান্নান ও প্যানেল মেয়র তার ভাগ্নে ইউসুফ আলী কাজ পরিদর্শন বানচাল করার জন্য কাহালু উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাজিব, যুবলীগনেতা আবু বক্কর ও রানা গংকে খবর দেয়। এ সময় আমরা ফিরে আসার সময় কাহালু হাসপাতালের পূর্বকোনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বর্তমান মেয়রের নেতৃত্বে যুবলীগের রাজিব গংরা উত্তোজিত হয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে কাহালু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামকে মারপিট করে এবং আমি থানার দিকে আসার সময় বর্তমান মেয়রের ইশারায় যুবলীগের রাজিব গংরা আমাকেও মারপিট করে এ সময় আমি ডান চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হই এবং বর্তমানে আমি ডান চোখে ঝাপসা দেখছি। তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘ ৩৭ বছর কাহালু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। কিন্ত বিগত পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকে যারা ভোট করেছিলেন সেই কাহালু উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাজিব, যুবলীগনেতা আবু বক্কর ও রানা গং বর্তমান বিএনপির মেয়রের ইশারায় আমাকে মারপিট করলো যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নুর শামিল। তাই আমি সাংবাদিকদের অবগতির মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দোষীদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থানায় অবগত করা হয়েছে এবং আমি অবশ্যই থানায় মামলা করবো।
কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমবার হোসেন জানান, এ ঘটনায় কাহালু উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাজিবকে আটক করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও কাহালু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল হাসিবুল হাসান কবিরাজ সুরুজ, উপজেলা জননেত্রী পরিষদের আহবায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আব্দুর রশিদ, কাহালু উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন কবিরাজ, কাহালু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী টনি, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন আহম্মেদ উচ্ছাস, কাহালু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম খোকন প্রমূখ।