মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ায় সড়কের ওপর পড়ে থাকা সালামত (৫০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৮টার দিকে শহরের কাঁঠালতলা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান পূর্বপাড়ার মৃত পরী সোনারের ছেলে সালামত পেশায় একজন রিকশা-ভ্যান চালক। তিনি শহরের একটি তরমজুমের আড়তে কর্মরত ছিলেন।
বগুড়া সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর খোরশেদ আলম পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, সালামত দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শনিবার রাতে তার অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যায়। বিষয়টি তিনি পরিবারের সদস্যদেরও জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাত গভীর হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের পক্ষে বগুড়া শহরে এসে কিছু করার ছিল না।
সাব ইন্সপেক্টর খোরশেদ আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাতভর সড়কের ওপর ছটফট করেছেন। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত সন্দেহ করে ভয়ে কেউ তার কাছে যাননি। হয়তো রোববার ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সকালে তার নিথর দেহ পড়ে থাকা দেখেও কেউ কাছে যাবার সাহস পাননি। মৃত ব্যক্তির শরীরে আঘাত বা জখমের চিহ্ন ছিল না। আমাদের ধারণা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তারপরেও আমরা ময়নাতদন্তের জন্য সালামতের লাশ শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি।
বগুড়া জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মৃত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদনে যদি করোনার কোন উপসর্গের কথা উল্লেখ থাকে তবে অবশ্যই তার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হবে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান বলেন, শুনেছি তিনি রাত থেকে অসুস্থ হয়ে কাঠালতলা এলাকায় ছিলেন। অনেক মানুষ তা দেখলেও নিজেরা কিছু করেনি এমনকি থানাতেও কোন খবর দেননি। এমনকি মৃত্যুর পর লাশ দীর্ঘ সময় পড়ে থাকলেও করোনার ভয়ে কেউ কাছে যায়নি। পরে খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম তার লাশ উদ্ধার করে শজিমেক মর্গে পাঠায়। তার পরিবারের সদস্যরাও থানায় এসেছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি বদিউজ্জমান আক্ষেপের সুরে বলেন, যদি সময়মতো আমাদের জানানো হতো তাহলে আমরা সালামতকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতাম।