বগুড়া শাজাহানপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার রহস‍্যজনক মৃত্যু

অপরাধ

বগুড়া প্রতিনিধি :
বগুড়ার শাজাহানপুরে নূর আলম (২৬) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার গন্ডগ্রাম পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদ সরকারের ছেলে এবং বনানী বন্দর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক। নূর আলমের স্বজনদের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অপরদিকে থানা পুলিশের ধারণা অতিরিক্ত মদ্যপানে তার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে গুরুতর আহত নূর আলমকে তার নিজবাড়ি গন্ডগ্রাম পূর্বপাড়ায় নেয়া হলে স্বজনেরা তাকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎক নূর আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সম্প্রতি গন্ডগ্রাম পূর্বপাড়া মির্জা বাড়ি থেকে গন্ডগ্রাম সারিয়াকান্দিপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি বগুড়া পৌরসভার অর্থায়নে কার্পেটিং কাজ শুরু হয়। এতে রাস্তার দু’ধারে থাকা অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রাস্তার জমি উদ্ধার করতে গিয়ে স্থানীয়দের মাঝে দু’টি গ্রুপ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গতবুধবার দু’টি গ্রুপের মধ্যে মারপিট, ভাংচুর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মারপিটের ঘটনায় আব্দুর রশিদ বাবলু এবং আবুল কালাম আজাদ নামের ২ ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় এজাহার নামীয় ৬জন সহ ১৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার ২য় আসামী ছিলেন নূর আলম। মামলার পর গত বুধবার থেকেই নিহত নূর আলম আত্নগোপনে ছিল।
নিহতের পিতা আব্দুল মজিদ সরকার জানিয়েছেন, ‘ প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে নূর আলম লতিফপুর মধ্যপাড়া গ্রামের একটি ছাত্রাবাসে পলাতক ছিল। শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাতেও নূর আলমের সাথে আমার ফোনে কথা হয়। শনিবার সকালে লোকমুখে তার মৃত্যুর খবর জানতে পারি। তিনি আরও বলেন, একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় করে নূর আলমের লাশ মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর আমরা খবর পেয়েছি। নূর আলমের ঘাড়ে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
বগুড়ার সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মন্তাজ আলী জানিয়েছেন, লাশের ময়না-তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। শাজাহানপুর থানার ওসি মো. আজীম উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘হত্যার অভিযোগ পরিবার করতেই পারে। তবে অতিরিক্ত মদ্যপান করায় নূর আলম মারা গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.