মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ার সোনাতলায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক বিকাশ এজেন্ট গুরুতর আহত হয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের গনসারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র ও হাটকরমজা বাজারে বর্ষা-মুগ্ধ এন্ড মিজান টেলিকমের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল ওয়াহাব বিটু (৩৫) গত সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১০টার সময় হাটকরমজা বাজার থেকে তার বিকাশের দোকান বন্ধ করে পায়ে হেঁটে বাজারের পার্শ্ববর্তী গনসারপাড়া নিজ বাড়িতে ফেরার পথে সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচী-হাটকরমজা সড়কের শেখাহাতী মাদ্রাসার নিকট পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুত গামী মোটরসাইকেল তাকে লক্ষ করে এসে তার পথরোধ করে। এরপর ছিনতাইকারীর দল তার গলায় একটি ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে হাতে থাকা টাকার ব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় বিকাশ এজেন্ট বিটু টাকার ব্যাগ রক্ষার চেষ্টা চালালে ছিনতাইকারীরা তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৭/৮টি উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা দ্রুত মোটর সাইকেল যোগে সটকে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে বিটুকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকা জনক।
আহত বিটু জানান, দোকান থেকে ফেরার সময় তার নিকট প্রায় লক্ষাধিক টাকা ও ৬টি মোবাইল ফোন ছিল। ছিনতাইকারী দলের ৩ জন ছিল। তারা সবাই অপরিচিত।
এ ঘটনার পর আজ সোনাতলার সেকেন্ড অফিসার মোঃ আব্দুর রহিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ছিনতাইকারীদের রেখে যাওয়া একটি চাপাতি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শাহাদত জামান লিটন ও আফছার আলী আকন্দ জানান, গত ২/৩ বছর পূর্বে একই স্থানে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান নামের এক ব্যক্তি মারা যায়।
আহত বিকাশ এজেন্টকে দেখার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মিনহাদুজ্জামান লীটন তার বাসায় যান এবং দ্রুত এ ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।